Leadসংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

আত্মসমর্পণের পর খালেদার জামিন

Khaleda_Zia_ঢাকা জার্নাল: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতা মামলায় নিম্ন আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতের এজলাস কক্ষে ঢোকেন খালেদা জিয়া।

নাশকতার মামলায় জামিনের পর গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করতে খালেদা জিয়া যান ঢাকা ৩নং বিশেষ দায়রা জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে। সেখানেও জামিন পান খালেদা জিয়া।

এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেয় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছান তিনি। মোট পাঁচ মামলায় জামিন নিতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন আদালতে হাজিরা দেবেন খালেদা জিয়া।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা নাশকতার দুই মামলা, গুলশান থানার একটি মামলা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় এবং গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা।

যাত্রাবাড়ী থানার পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও দগ্ধ হওয়ার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গত ৩০ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ ছাড়া একই ঘটনায় চার্জশিট হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের অপর একটি মামলা। ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই মামলায় মঙ্গলবার চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে সমন দেওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন তার পক্ষে সময় চাওয়ায় ১০ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া ওই মন্তব্য করেন।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ মে চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর থেকেই উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।

২0১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার দুটি রিট আবেদন খারিজ করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুয়ায়ী আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটিতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গুলশানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে  পেট্রোলবোমা হামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০৫, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.