আগামী সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা চায় ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘কমিশন অবশ্যই সিসি ক্যামেরা চায়। আমাদের হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইচ্ছা আছে। তবে এখানে অর্থনীতি বড় জিনিস।’
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইভিএমের প্রজেক্ট পাস করার বিষয় ছিল, কিন্তু সিসি ক্যামেরার জন্য প্রজেক্ট পাস করতে হবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ওই রকম বিষয় না। যদি প্রজেক্ট পাস করতে হয়, সেটা নির্বাচনের বাজেটের ব্যাপার। সিসি ক্যামেরা বাদ দিছি, এমনও ডিসিশন হয়নি। আমরা আনবোই আনবোই এমনও ডিসিশন হয়নি।’
দ্বাদশ ভোট বছরখানেকের মতো দেরি জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘এই এক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেটাও আমরা বুঝতে পারবো। সব মিলিয়ে এটা ডিসিশনের প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘ভোটে সিসি ক্যামেরা হলে ভালো হয়। আমাদের জন্য ভালো হয়। আপনাদের জন্যও ভালো হয়। ভোটারদের জন্য ভালো হয়। সব মিলিয়ে সর্বোপরি ভালো হয়। আমরা তো চাইবো ভালোটার দিকে, খারাপের দিকে যেতে চাইবো না।’
অর্থনীতি এখানে বড় জিনিস জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘কমিশন চাইলে নিজে নিজে তো করতে পারবে না। সবকিছু মিলিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি পারমিট করে আমরা অবশ্যই করবো। তা না হলে তো আমরা আসলে কিছু বলতে পারছি না। হবে না হবে, কোনোটাই না। আমাদের হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইচ্ছা আছে। কমিশন অবশ্যই সিসি ক্যামেরা চায়। সরকারের ওই পর্যায়ে যাওয়া হয় না।’
সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভোট করবো কী করবো না, এ বিষয়ে আমাদের ডিসিশন হয়নি। আইনে কোথাও দেওয়া নাই— সিসি ক্যামেরা করতেই হবে। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে করেছি। সিসি ক্যামেরার একটা ইফেক্টিভ রেজাল্ট। সেটাও কিন্তু একটা বড় বাজেট লাগবে। তিনশ’ আসন একটা ম্যানেজমেন্ট বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। সেটা কীভাবে করা যায়, আদৌ সম্ভব কিনা, করলে কতটুকু করা যায়, এ বিষয় নিয়ে আমরা এক ধরনের আলোচনা করে আসছি।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘আমাদের হাতে যেগুলো আছে, সেটা দিয়ে আমরা করবো। এ পর্যন্ত আমাদের ডিসিশন। একবারে করবো না, সেটা কিন্তু না। ইলেকশনে ব্যবহার চলছে। আস্তে আস্তে রিপোর্টটা পাবো। তবে ৫০ থেকে ৭০-এর মধ্যে বিষয়টা থাকবে।’