শিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি দুলু গ্রেফতার

মতিঝিলের আইডিয়া স্কুল অ্যন্ড কলেজের ড্রেস কোর্ড পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা, শিক্ষর্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলুকে গ্রেফতার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই আশরাফ।

জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এসব অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়উল কবির দুলু, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ মানিক, মো. সওগাতুল আলম শওকত ও শ্যামলী আক্তার শিমু নামের একজন অভিভাবককে আসামী করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ড্রেস কোড নিয়ে অভিভাবকদের একাংশ আন্দোলন করেন।  ড্রেস কোর্ড পরিবর্তন করে টুপি, স্কার্ফ ও বড় ওড়না ঐচ্ছিক করা হয়। কিন্তু কিছু অভিভাবক ছেলেদের টুপি, মেয়েদের ওড়না ও স্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলন করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকি যোগাযোগ মাধ্যম ও একটি জাতীয় দৈনিকেও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়।  অভিভাবকদের একাংশ প্রতিষ্ঠানটির বনশ্রী শাখা ও মূল শাখায় টুপি ওড়না ও স্কার্ফ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। এই ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুক্রবার মামলা হলে দুলুকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছর ৩ অক্টোবর গভর্নিং বডির সভায় ড্রেস কোডে আংশিক পরিবর্তন করা হয়, ছাত্রদের টুপি ও ছাত্রীদের স্কার্ফ ঐচ্ছিক করা হয়।  কারণ এই প্রতিষ্ঠানে হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মালম্বী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।  গভর্নিং বডির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জামায়াত-শিবির মতাদর্শী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং তথা কথিত অভিভাবক ফেরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবির মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ মানিক, মো. সওগাতুল আলম শওকত ও শ্যামলী আক্তার শিমু কথিত অভিভাবকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার শুরু করেন। গত ৮ ও ১৫ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানের মূল ভবনের সামনে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৭০/৮০ জন নামধারী অভিভাবক নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ব্যনারনহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়, লেখাপড়া চরমভাবে বিঘ্ন ঘটে। বিক্ষোভকারীদের আচরণ ছিলো মারমূখী, অশালীন ও উগ্র।

অভিযোগে আর বলা হয়, বিক্ষোভের সময় প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোর্ড পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে ফেসবুক ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তিসহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানহানীকর তথ্য প্রচার করে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করা হয়।