শিক্ষা-সংস্কৃতি

অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান দীপু মনির

সমন্বিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যাবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি। ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে আয়োজিত সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার বিশ্বসাক্ষরতা দিবসে (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে, যাতে আজীবন সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।’

শিক্ষা বিষয়ক এ সম্মেলনে সেনেগাল, বেনিন, ইকুয়েডরসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষামন্ত্রীরাও অংশ নেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।

সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজি’র টার্গেট ৪ দশমিক ৬ অর্জন করা। যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার বিভিন্ন প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু এবং অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে— এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষেকে সহায়তা করতে হবে। তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে। সাক্ষরতা এই সব কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে। কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।’

সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশের উদ্যোগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সাক্ষতার হার ২০১১ সালের ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত করার আশা করা হচ্ছে। জীবনব্যাপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।