শিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

`অনার্স উঠানোর আগেই হয় এমপিও নয় জাতীয়করণ চাই’

দেশের ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রেক্ষিতে এই স্তরের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা আমরণ অনশনের হুমকি এবং স্মারকলিপি দেওয়ার পর আবার মানন্ববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছে।  সোমবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পঅরন করবে।   অনার্স উঠিয়ে দেওয়ার আগেই হয় এমপিওভুক্তি নয় জাতীয়করণ বাদিতে অনুষ্ঠিত্য মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বর্ষপূঞ্জি’র মোড়ক উন্মোচন করবে।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) পাঠানো প্রেস ব্জিীপ্ততে জানানো হয়, ১৯৯৩ সালে প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে ও স্থানীয়ভাবে পড়ালেখার স্বার্থ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রথম অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়।

বাংলাদেশ নিগৃতীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে দীর্ঘ ২৯ বছরেও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। এ সমস্যা সমাধান প্রত্যাশায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হলে কোনও লাভ হয়নি। উপোরন্ত শিক্ষকদের পদ জনবলে অর্ন্তভুক্ত না থাকাকে দায়ী করে পাশ কাটানো হয়েছে শিক্ষকদের দাবি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে কথনও ভেবেও দেখেননি।

এমনকি সর্বশেষ ২০১৮ জনবল সংশোধনীতে এ স্তরের শিক্ষকদের পদ জনবলে অর্ন্তভুক্তিতে জনবল কাঠামো ও নীতিমালা সংশোধন কমিটির প্রথম বৈঠকে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছালেও পরবর্তীতে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। শুধু তাই নয়,  এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি কলেজে আর অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু না রেখে কারিগরী সর্ট কোর্স চালুর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

এখন প্রশ্ন, এ স্তরে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কী হবে? এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পরিষ্কার করে এখনও কিছু বলেননি। আর রাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যাণে যেকোনো সৃষ্টিকে হঠাৎ করে বাতিল না করে একটু চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মন্ডল বলেন, অনার্স-মাস্টার্স উঠিয়ে সর্ট কোর্স চালুর চিন্তা-ভাবনার ইস্যুকে এমপিও না দেওয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহার হলে সেটিও আমাদের জন্যে বেদনার কারণ। একই বিধিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যদি এইচএসসি ও ডিগ্রি স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারে। তাছাড়া নব্য জাতীয়করণ কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা আত্তীকরণের আওতায় আসে তাহলে আমরা বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা কোন যুক্তিতে এমপিও বঞ্চিত হবো। দুই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা সম্মানীতে একটি পরিবারই নয়, এক জন ব্যক্তির জীবন-যাপনই সম্ভব কি?

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই— বেসরকারি কলেজে অনার্স-মার্টার্স স্তর উঠিয়ে দেওয়ার আগে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থায় এমপিওভুক্ত করা হোক। অন্যথায় ৩১৫টি কলেজকে জাতীয়করণ করে নেওয়া হোক।  আর যদি তা না করা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন শিক্ষকরা।