৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তার জন্য দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
ঢাকা জার্নাল ডেস্ক: মো. ময়নুল হোসাইন, চলনবিল
মাত্র ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তার জন্য সিরসজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় রাস্তাটি। তখন ভোগান্তির শেষ থাকে না মানুষের।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুলে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত বড়হর ইউনিয়নের অলিপুর-সড়াতৈল সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এক বছর আগে এই রাস্তার প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাকা করেন।
আমডাঙ্গা থেকে সড়াতৈল মাদ্রাসা মোড় পর্যন্ত অংশ পাকার কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট এই মোড় থেকে সড়াতৈল তালুকদার বাড়ি সেতু পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তা কাঁচা রয়ে গেছে। এই অংশে বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে প্রচুর কাদার সৃষ্টি হয়। এসময় যানবাহন চলাচল দুরের কথা পায়ে হেঁটে চালাচলও খবুই কঠিন হয়ে পড়ে।
সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, অলিপুর-সড়াতৈল রাস্তা দিয়ে উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়নের, বাগদা, চর বাগদা, রশিদপুর, অলিপুর, বোয়ালিয়া, বড়হর, পাগলা বোয়ালিয়া, গুয়াগাঁতিসহ অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ যাতায়াত করে থাকেন। এই রাস্তা দিয়ে হাটিকুমরুলে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যেতে হয় লোকজনকে।
তাছাড়া সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, সড়াতৈল মাদ্রাসা, সড়াতৈল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সড়াতৈল বাজারে স্থানীয় লোকজন ও কয়েক শত শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন এই রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে রাস্তার কাঁচা অংশের দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টি হলেই ৫/৬ দিন পর্যন্ত এই কাঁচা অংশ কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। ছেলে মেয়েরা অনেক দিন স্কুলে যেতে পড়ে গিয়ে স্কুল পোশাক ও ব্যাগ নষ্ট করে ফেলে। অনেককে বাড়ি ফিরে যেতে হয় কাদা মাখা অবস্থায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে উক্ত সড়কের সড়াতৈল মাদ্রাসা মোড় থেকে তালুকদার বাড়ি সেতু পর্যন্ত ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন এই প্রধান শিকক।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, উল্লিখিত রাস্তা দিয়ে বড়হর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এ কারণে প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটির ৪ ভাগের ৩ ভাগ অংশ পাকা করার কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ পেলে অবশিষ্ট ৫০০ মিটার কাচা অংশ পাকা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।