হাঁটুর ব্যথায় অস্ত্রোপচার ও ফিজিওথেরাপি, দু’টোই কার্যকর
ঢাকা জার্নাল: হাঁটুর ব্যথায় অস্ত্রোপচার, ফিজিওথেরাপি, দু’টোই কাজ দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ’যাবৎ সবচেয়ে বিশদ জরিপে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে৷ বিশেষ করে মেনিসকাস ছিঁড়ে গেছে, এই সন্দেহে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করার কোনো প্রয়োজন নেই, বলছেন গবেষকরা৷
‘টর্ন মেনিসকাস’ একটি অতি সাধারণ ইনজুরি৷ মেনিসকাস বলে অর্ধচন্দ্রের আকারের কার্টিলেজ ডিস্কগুলোকে, যা হাঁটুকে কুশন করে৷ পঞ্চাশের ওপর এক-তৃতীয়াংশ মানুষেরই মেনিসকাসে একটা ‘টিয়ার’ বা ছেঁড়া জায়গা থাকে৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আরথ্রাইটিস বা গেঁটেবাত থাকলে তো কথাই নেই৷ তাহলে এ’ধরনের ছেঁড়া থাকার সম্ভাবনা আরো বেশি৷ মেনিসকাস ছেঁড়া থাকলে তার আর যে কোনো লক্ষণ থাকবে, এমন কথা নেই৷ কিন্তু ব্যথাটা তো থাকবেই৷
এপি সংবাদ সংস্থা যে নতুন জরিপটির বিশদ বিবরণ দিয়েছে, তা’তে অংশগ্রহণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি মুখ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও অর্থোপেডিক সার্জারি সেন্টার৷ সরকারি অর্থানুকুল্যে সম্পাদিত জরিপে ৩৫১ জন আরথ্রাইটিস ও মেনিসকাসের পেশেন্টকে হয় সার্জারি, নয়তো ফিজিওথেরাপি করাতে বলা হয়৷
থেরাপিটা ছিল গড়ে ন’টি সেশনের, সেই সঙ্গে বাড়িতে করার জন্য কিছু ব্যায়াম ও কসরত৷ ছ’মাস পরে দেখা যায়, যারা আরথ্রোস্কোপিক সার্জারি করিয়েছে, আর যারা ফিজিওথেরাপি করিয়েছে, উভয় দলেরই একই পরিমাণ উন্নতি ঘটেছে৷ জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয় নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন, অনলাইনে৷
জরিপের একজন পরিচালক, হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুলের এক বিশেষজ্ঞ ড. জেফ্রে কাট্স বলছেন: ‘‘(সার্জারি কিংবা থেরাপি) দু’টোই খুব ভালো সিদ্ধান্ত৷ প্রথমে ফিজিওথেরাপি করে দেখাটা খুবই বাস্তবসম্মত কেননা তা’তে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো৷”
একই ফল
সবচেয়ে মজার কথা, পেশেন্টদের ৩০ শতাংশ জরিপের পুরো ছ’মাস থেরাপি করে কাটাতে পারেননি৷ তারা মাস তিনেকের মাথাতেই অস্ত্রোপচার করিয়েছেন৷ কিন্তু আরো তিন মাস পরে দেখা গেছে, তাদের অবস্থা যারা অস্ত্রোপচার করাননি, তাদের মতোই, তার চেয়ে ভালোও নয়, খারাপও নয়৷
বিশেষজ্ঞরা এখন আশা করছেন যে, এই জরিপের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের কারণে কিংবা অকারণে হাঁটুর অস্ত্রোপচার বন্ধ হবে, যার খরচও খুব কম নয়৷ আর কিছু না হোক, সার্জারির খরচ থেরাপির প্রায় পাঁচ গুণ৷
এসি / এসবি (এপি)