স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‌্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের স্থান হয়নি নতুন মন্ত্রিসভায়।

শপথের পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সামন্ত লাল সেন। তার বাবার নাম জিতেন্দ্র লাল সেন, যিনি সরকারি চাকরি করতেন। তিনি সেন্ট ফিলিস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক ও সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।

১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জার্মানি ও ইংল্যান্ডে সার্জারিতে আরও প্রশিক্ষণ নেন।

সামন্ত লাল সেন এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকায় বদলি হয়ে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন।

ডা. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেলে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সামন্ত লাল সেন এই বিভাগ চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে ২০০৩ সালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য স্বতন্ত্র একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি এ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। পরে সরকার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ দেন।

পরে এই ইউনিটটিকে স্বতন্ত্র একটি ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ নামে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই এখান থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদান শুরু হয়। শুরু থেকেই সামন্ত লাল সেনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পান।