অন্যান্য

স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ ফার্গো

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যে ব্যাপক ভেজালের বিষয়টি কারো অজানা নয়। এমন প্রেক্ষিতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করলো ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফার্গো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং এলে ইয়ান সাফ। অনুষ্ঠানে যৌথ এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রফতানি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর কৃষি খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তিতে বিশ্বসেরা নেদারল্যান্ডস। এ কারণেই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আমাদের এ যৌথ-উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য গ্রাহকদের জন্য নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ-উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের খাদ্য ও কৃষিপণ্য রফতানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।

উদ্যোক্তারা জানান, ফাার্গো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়।

অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে ও চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণে বাড়িয়েছে। অসংক্রামক ব্যাধি যেমন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওভার ওয়েট ও অবেসিটি ইত্যাদি রোগের ব্যাপক বিস্তারের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদান যেমন হোল গ্রেইন, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট- বেজড ওয়েল, ফল ও শাকসব্জি এবং পানির কথা বলেছে। সপারিশ করা এই খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছি। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই।