সিরিয়া সংকট নিরসনের চেষ্টা ইউ’র
ঢাকা জার্নাল: সিরিয়ায় দু’বছরে মারা গেছে ৮০ হাজার মানুষ৷ দিন যাচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ সংকট নিরসন তাই জরুরি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ চেষ্টায় বেশ তৎপর৷ এর মাঝেই দেখা দিলো সিরিয়া-সংকট বাড়ার আশঙ্কা৷
বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহায়তা দেয়া হবে কি হবেনা এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দ্বিধাবিভক্ত৷ সিরিয়ার ওপর এ জোটের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ২০১১ থেকে৷ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ফুরাতে বেশি বাকি নেই৷ এ অবস্থায় নতুন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, কিংবা ঘোষণা দিয়ে বলবৎ রাখতে হবে আগের সিদ্ধান্ত৷ কোন দিকে যাওয়া উচিত এ নিয়ে ভাবনায় আছে ইইউ৷
ব্রিটেন আর ফ্রান্স নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেয়ার পক্ষে৷ দেশ দুটি মনে করে বাশার আল-আসাদ সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রেখে বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহায়তা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে৷ তাদের যুক্তি, আসাদ সরকার যেহেতু (দেশ দুটির দাবি অনুযায়ী) রাশিয়া আর ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সেহেতু বিদ্রোহীদের একই সহায়তা দেয়া উচিত এবং এর ফলে যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হতে পারে৷
কিন্তু ইইউ-র অনেক সদস্যদেশ আবার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়ার বিপক্ষে৷ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইডেন মনে করে বিদ্রোহীদের এমন সহায়তা দিলে সংকট আরো ঘণীভূত হবে৷
এদিকে রাশিয়া এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জন কেরি৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরির বৈঠকে বসবেন প্যারিসে৷ সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগই এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য৷
সংকট নিরসনের এত ভাবনা, এত উদ্যোগের মাঝেই লেবাননে রকেট হামলা চালিয়েছে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী৷ জোড়া হামলায় মাত্র পাঁচজন আহত হলেও তাতে সংকট নতুন মোড় নেয়ার আশঙ্কাই যে বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)