সারাদেশে বজ্রপাতে নিহত ১০
ঢাকা জার্নাল: মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে কক্সবাজারে ৭ জন, সাতক্ষীরায় ২ জন এবং লক্ষ্মীপুরে ১ জন মারা গেছেন।
কক্সবাজারে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এবং দুপুর ২টার দিকে দুই দফায় ৭ জন মারা গেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ তিন ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন থাকে। পরে গাছ সরিয়ে নিলে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার শহরের বিডিআর ক্যাম্প এলাকার মোহাম্মদ হান্নানের স্ত্রী শাহেনা আকতার (২৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস পাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে লিটন (৩০), খুটাখালী ইউনিয়নের ফরেস্ট পাড়ার সুলতান আহমদের ছেলে জামাল হোসেন (৪০), মহেশখালীর সিপাহী পাড়ার আলম ফরিদের ছেলে এরশাদুল করিম (২০) ও কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের মৃত হাজি সৈয়দুর রহমানের স্ত্রী শামসুন নাহার (৫০)।
চকরিয়া থানার ভার্রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান, দুপুর ২টার দিকে বজ্রপাতের ঘটনায় চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী এলাকার ফরেস্ট পাড়ার সুলতান আহমদ (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ ও চকরিয়ার জামাল হোসেনসহ (৪০) দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন উপজেলার কাপসন্ডা গ্রামের আমানত গাজীর ছেলে নাসির উদ্দীন গাজী (২৮) ও কাকবাসিয়া গ্রামের মৃত নাজিম আলী মোল্যার ছেলে মুনসুর আলী মোল্যা (৫০) ।
কাপসন্ডা গ্রামের শাহাজান আলী মোড়ল জানান, নাসির ও মুনসুর আলী পৃথক পৃথক প্রয়োজনীয় কাজে কয়রা উপজেলার আমাদী বাজারে যান। মঙ্গলবার রাতে ফেরার পথে আমাদী খেয়াঘাট এলাকায় পৌছালে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।
এসময় তারা সেখানে অবস্থিত যাত্রী ছাউনীর মধ্যে আশ্রয় নেয়। রাত ৮টার দিকে যাত্রী ছাউনিতে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে তারা মারা যান।
একই সঙ্গে সেখানে অবস্থানরত আরও ৮ জন মারাত্মক আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনার রশীদ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পূর্বচরপাতা গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাত হলে জুয়েল হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
জুয়েল হোসেন ওই উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের আমির হোসেনের ছেলে।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৬, ২০১৩