‘সাবধান হোন, সময় আছে এখনো’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুদু
ঢাকা জার্নাল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বিদায়ের সাইরেন বেঁজে ওঠেছে। সাবধান হোন, নইলে মারাত্মক পরিণতি অনিবার্য রুপ নিবে।’
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদু বলেন, ‘জনগণের রোষানল এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, এই নতুন গজিয়ে ওঠা হুঙ্কার সর্বস্ত্র নেতাদের খুঁজে বের করে জনতার আদালতে দাঁড় করাতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
‘সবকিছু কঠোর হস্তে দমন করা হবে’- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে দুদু বলেন, ‘তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) এমন ভঙ্গিতে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে দেশটা আওয়ামী লীগের কেনা সম্পত্তি। হিটলারের মতো আপনাদের হুঙ্কারে জনগণ ভীত নয়।’
সরকার দলীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে চারবছরে সরকারের ভয়াবহ গণহত্যা, নৃশংসতা এবং হাজারো অপকর্মের দায়ে জনতার দরবারে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিন।’
চেয়াপারসনের এই উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, ‘গত ৪ এপ্রিল মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম রাশেদ ও হাবিবউহল্লা বাহার কলেজের ছত্রদল কর্মী মাহমুদুর রহমান খানকে তাদের বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থান জানতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা জানতে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায় নি।’
অবলিম্বে তাদের সন্ধান দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘স্বাধীন দেশে সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেউ নিখোঁজ হলে তাকে খুঁজে বের করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় কোনো নাগরিককে বাসা কিংবা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তা অস্বীকার করা সমাজ এবং রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য এক ভয়াবহ আতঙ্ক ও আইনের লঙ্ঘন।’
দুদু অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে যথাযথ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে না। সংসদ সদস্য বরকত উল্লাহ বুলুকে জেলের ডিভিশন দেয়া হয়নি।’ অবিলম্বে তাদের সুচিকিৎসা এবং ডিভিশনের দাবি জানান বিএনপির মুখপাত্র।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শিক্ষাবিষয়ক সম্পদাক খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, জাসাস সভাপতি আবদুল মালেক প্রমুখ।