সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ
ঢাকা জার্নাল: জীবন্ত লাশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য দেন আইএসপিআরের পরিচালক শাহীনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “জীবন্ত লাশ পাওয়ার আকাঙ্খা আর করছি না। তবে মৃতদৃহগুলো সম্মানের সঙ্গে উদ্ধার করছি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মধ্যরাত পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর মোট লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪৬ জনের।”
তবে তিনি জানান, যত নিচের তলার দিকে যাচ্ছি তত লাশের সংখ্যা বাড়ছে। শেশ লাশটি উদ্ধার না করে আমরা উদ্ধার কাজ চলাবো। বিজিএমই এর কাছে শ্রমিকের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ মে’র মধ্যে মালিকরা শ্রমিকদের বেতন দেবে। সেই সময় হিসেবে দু-এক দিনের মধ্যে তালিকা পেয়ে যাবো। তখন যানা যাবে কি পরিমাণ লাশ পাওয়া যেতে পারে।
শাহীনুল ইসলাম বলেন, “লাশ উদ্ধারের প্রয়োজনে রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ এখান থেকে সরিয়ে ফেলবো। যদিও আমরা বিল্ডিং সরাতে এখানে আসিনি। জীবিত এবং মৃত দেহ উদ্ধার করতে এসছি।”
তিনি আরো বলেন, “উদ্ধার তৎপরতা দ্রুত গতিতে চলছে। লাশগুলো সম্মানের সঙ্গে উদ্ধার করার জন্য কিছু সময় নিতে হচ্ছে।”
এদিকে মধ্যরাতেও রানা প্লাজার পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি লাশ ধ্বংস্তুপের সঙ্গে ঝুুলতে দেখা গেছে। ভারী যন্ত্রপাতি ও ক্রেন ব্যবহার করে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে লাশ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত ২৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে।
সাভার পৌর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার মালিকানাধীন এই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও পোশাকের দোকানের পাশাপাশি তৃতীয় তলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত ছিলো গার্মেন্ট কারখানা। এগুলোতে কাজ করতেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
ঢাকা জার্নাল, মে ০৩, ২০১৩