সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নয়: ফখরুল
ঢাকা জার্নাল: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় সরকার প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে কোনো আপসে বিএনপি যাবে না।
সোমবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব একথা বলেন।
ঠিক ওই সময়ই আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, এখন না বললেও আগামী নির্বাচনে সব দলই আসবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের পর থেকে তা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের অধীনে নিরপেক্ষ হবে না। দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।”
দাবি না মানলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
“সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নির্দলীয় সরকারের প্রশ্নে এক হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে।”
ফখরুল বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না বলেই ‘ষড়যন্ত্র’ করছে।
“সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেছেন, তার কাছে তথ্য আছে-আগামীতে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় যাবে। এ থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, নির্বাচনে জিততে সরকার নীল নকশা করছে।”
গত ২৩ জুলাই যুবলীগের এক ইফতার অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তার কাছে তথ্য আছে যে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় আসবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিএনপির সমালোচনা করে রোববার বলেন, “জয় যখন বললো, আমি পোল করে এ তথ্য পেয়েছি। সেটাকে বিকৃত করে বলা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় ফিরে আসা যায়।”
কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউটে তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ফখরুল আওয়ামী লীগের দেশ পরিচালনারও সমালোচনা করেন।
“এই সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। এমন কোনো খাত নেই, যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। এই সরকার হটানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।”
“আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু কাজে-কর্মে তারা স্বৈরাচারী। তাদের সময়ে গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ হয়েছে। মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই সরকারের আমলেই সংবাদকর্মীরা নিগৃহীত হয়েছে বেশি।”
ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, শফিউল ইসলাম, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, আবুল খায়ের আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সংগঠনের সভাপতি মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জুলফিকার মতিনও ছিলেন।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৯, ২০১৩।