সময় নিল বিএনপি
ঢাকা জার্নাল: নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানাবে বিএনপি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শনিবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে বিরোধী দলীয় নেতার গাড়িবহর গুলশানের কার্যালয় থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব, রাজধানীতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ও ২৫ অক্টোবরের জনসভার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টায় আঠারো দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের পরই বিএনপি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে।
এর আগে বৈঠক চলাকালে দলের স্থায়ী ফোরামের সিদ্ধান্ত জানাতে দুই দফা বেরিয়ে আসেন মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় তিনি রাজধানীতে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সারাদেশে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “সরকার ঢাকায় সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে আদেশ মহানগর পুলিশ জারি করেছে। তা বেআইনি, অসাংবিধানি ও গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। এটা সরকারের ভিন্ন লেবাসে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার অংশ।”
পরবর্তী কর্মসূচি পরে জানানো হবে বলেও জানান বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, জমির উদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারি রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে তাতে বিরোধী দলের সদস্যদের নাম আহ্বান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে নতুন কিছু নেই।