সংসদের অধিবেশন ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি
ঢাকা জার্নাল: আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেছেন ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী। রোববার অধিবেশন চলাকালে সন্ধ্যা ৭টায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন।
এর আগে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন চলার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এখন স্পিকারের আবারো মুলতবি ঘোষণার ফলে সংসদের চলতি অধিবেশন চলমানই থাকছে।
গত ২৩ অক্টোবর সংসদের কার্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদ চলবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়াও বৈঠকে স্পিকারের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি চাইলে সংসদের মেয়াদ বাড়াতে পারেন। স্পিকার তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে সংসদের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন শুরু হয়। এ অধিবেশন উপলক্ষে কার্য-উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় চলতি অধিবেশন ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত কথা ছিল। কিন্তু গত ২৩ অক্টোবর কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় অধিবেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবারই ১৯তম অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা।
চলতি অধিবেশনের স্বাগত বক্তব্যে স্পিকার বলেছিলেন, ‘২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংসদ চলবে।’ কিন্তু পরে সংসদীয় দলের সদস্যদের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, অধিবেশন ২৪ অক্টোবরের পরেও চলবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত চলতে পারে এ অধিবেশন।
অবশ্য চলতি অধিবেশনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ার কথা গতকাল বুধবারই জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী এবং চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা এ কথা জানান।
তবে অধিবেশনের মেয়াদ কত দিন বাড়বে সে সিদ্ধান্ত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নেবেন বলে জানান তারা। এতে রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ বাড়লো বলে মনে করেন তারা।
এ সরকারের মেয়াদে এটিই সর্বশেষ অধিবেশন। বর্তমান সংসদ শুরু হয় ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী এ সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জানুয়ারি এবং ২৭ অক্টোবর থেকে এসময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে যেহেতু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হচ্ছে, তাই তফসিলের আগ পর্যন্ত সংসদ চলতে আইনগত বাধা নেই।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ১০, ২০১৩।