শিলু রায়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ফারহানা কাউনাইন

মার্চ ৯, ২০২০

সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবক ছাউনি করার উদ্যোগ বাস্তবায়নে সাফল্য দেখাতে পেরেছেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। শিবপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিলু রায়ের নেওয়া এই উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে জেলার ৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ সম্পন্ন করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার শিবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নীতির পাঠশালা চালুর পাশাপাশি ‘মাতৃছাঁয়া’ নামে অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ শুরু করেন ২০১৮ সালে। ওই সময় জেলা প্রশাসনের কোনও তদারকি ও অর্থায়ন ছাড়াই স্থানীয় পর্যায়ের সহযোগিতা নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মাতৃছায়া’ নামের অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিলু রায়।

নতুন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনকে দিয়ে ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর শিবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ছাউনির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করান শিলু রায়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিলু রায় বদলি হয়ে গেলে নতুন করে জেলা প্রশাসক সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ করার। তবে সরকারি অর্থে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা এই কাজে সহযোগিতা দেন জেলা প্রশাসনকে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থে প্রতিটি ইউনয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ছয়টি পৌরসভায় ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে মোট ৭৭টি অভিভাবক ছাউনি নির্মাণ করেন।

সোমবার (৯ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭৭টি অভিভাবক ছাউনির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারহানা কাউনাইন। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, ‘একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাইলে একটি উপজেলার চেহারা পাল্টে দিতে পারেন।’

তবে স্থানীয় লোকজন জানান, সব ঠিকঠাকভাবে হলেও শিবপুর উপজেলা সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া অভিভাবক ছাউনির নাম ‘মাতৃছাঁয়া’ বদলে ‘ছাঁয়াপরশ’ করা হয়েছে। নাম বদলে দেওয়ায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিলু রায়ের উদ্যোগকে ম্লান করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশিরভাগই সময়ই মায়েরা আসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। সেই বিবেচনায় ‘মাতৃছাঁয়া’ নামটিই বেশি উপযুক্ত ছিলো।

স্থানীয় লোকজন বলেন ‘সবকিছুর পরও শিলু রায়ের নেওয়া উদ্যোগটি যত্নসহকারে বাস্তবায়ন করার জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ ।’