শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের ১১৩ নম্বর পূর্ব শিকদার মল্লিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিউটি রানী এদবরের বিরুদ্ধে মারিয়া আক্তার নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর হাত ডাস্টার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ের মধ্যাহ্ন বিরতির পর তৃতীয় শ্রেণির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার (৯) নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের উদয়তার গ্রামের মো. মামুন বেপারির মেয়ে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারিয়া জানায়, ঘটনার দিন শ্রেণিকক্ষে বিউটি ম্যাডাম তাকে পড়া জিজ্ঞেস করলে সে ঠিকঠাক পড়া দেয়। সে সময় ওই শ্রেণির অপর শিক্ষার্থী রিপা তার বিরুদ্ধে ম্যাডামের কাছে পড়া রেখে খেলার অভিযোগ জানায়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিউটি রানী ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক বিউটি রানী এদবর বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে চাকরি করছি। আমার ভুল হয়েছে, ক্ষমাপ্রার্থী। আর কখনও এমন হবে না।’
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশিদা খানম বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে মোবাইল ফোনে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ বড়াল। সে সময় ছুটির পর আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মারিয়া পড়া লিখতে না পারায় ডাস্টার দিয়ে পেটালে তার হাত ভেঙে যায়। আজ সকালে স্কুলে আসার পথে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নিয়ে এসেছি।’
ঘটনার বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সবুজ কান্তিকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। উনি এসে প্রতিবেদন দিলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে একজন এটিও গিয়েছিলেন। উনি রিপোর্ট দিলে আমি দুই-একদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবো।’
পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেনে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।