রোববার পহেলা বৈশাখ
ঢাকা জার্নাল: আগামী রোববার বাঙালীর জীবনে আনন্দ উৎসবের দিন। এই দিনে বাঙালীরা যেন প্রাণ ফিরে পায়। বৈশাখী ঝড় আর এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষা থাকেন সব বাঙালী নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আহবান জানিয়েছিলেন, এই বৈশাখকে আপন করে আসার। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ এই আহবান বাঙালীর প্রাণ, মন শুদ্ধ করে নেওয়ার। পুরাতন বছরের জ্বরা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে বাঁচতে শেখার আহবান জানায়।
বাংলা নববর্ষ ১৪২০
সরকারি কর্মসূচি
আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষেরর প্রথম দিন। ১৪২০ বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে সরকার প্রতি বছরের মতো বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বাঙালীর সর্বজনিন উৎসব পহেলা বৈশাখের দিন সরকারী ছুটি রয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বানি দেবেন।
ওইদিন রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ সরাসরি সম্প্রচার করবে। অন্যান্য বেসরকারি টিভি (বিটিভি’র মাধ্যমে) ও রেডিও এ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। পয়লা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি তুলে ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
সকল বিভাগীয় শহর এবং জেলা সদর ও উপজেলায় পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী দু’দিনব্যাপী এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পয়লা বৈশাখে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও নজরুল ইন্সটিটিউট আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমী ও বিসিক তিন দিনব্যাপী মেলা, লোক উৎসব, আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, সোনারগাঁও তিন দিনব্যাপী এবং জাতীয় জাদুঘরসহ সকল জাদুঘর ও প্রতœতাত্ত্বিক গুরুত্ববহ স্থানে আয়োজিত মেলায় ছাত্রছাত্রী, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পয়লা বৈশাখের আগের দিন থেকে চার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব, কারুশিল্পমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। দেশের পাঁচ তারকা হোটেলসহ সকল হোটেল ও মোটেলে নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে।
দেশের সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানায়) উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, শিশুদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কারাবন্দীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্যাদির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি উপলক্ষে নিজস্ব কর্মসূচি পালন করবে।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১১, ২০১৩