রেশমার গ্রামে বইছে আনন্দের বন্যা
ঢাকা জার্নাল: সাভারের রানা প্লাজার ধবংসস্তূপ থেকে ১৬ দিন পর উদ্ধার রেশমার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের কোশিগাড়ীতে বইছে আনন্দের বন্যা। এ অভাবিত প্রাপ্তিতে আনন্দাশ্রু ঝরছে তার আপনজন ও প্রতিবেশীদের।
ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের কোশিগাড়ী গ্রামের কৃষক মৃত আনসার আলী ও গৃহিনী জোবেদা খাতুনের ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রেশমা (২০)।
বিয়ের পর স্বামী আব্দুর রাজ্জাক, মা জোবেদা, ভাই জায়েদুল, সাদেক ও মোঝো বোন আসমাসহ চার বছর ধরে রেশমা অবস্থান করছেন ঢাকায়। স্বামীর সঙ্গে পৃথক হওয়ার পর চার মাস আগে সাভারের রানা প্লাজার নিউওয়েভ গার্মেন্টে কাজ শুরু করেন তিনি।
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রেশমা। তাকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিল পরিবারের লোকজন।
রেশমাকে জীবিত উদ্ধারের খবরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন গ্রামের বাড়িতে অবস্থানরত বড় বোন ফাতেমা (৩৫)। আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন তিনি। তার আনন্দের অনুভূমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, এ ঘটনার পর এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। প্রশাসন, সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জন তাকে ফোন করে খবর নিচ্ছে। গ্রামের লোকজন জানতে চাইছে রেশমা এখন কোথায় কেমন আছে।