শীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

আদরের আদুরিকে নিয়ে গ্রামে ফিরতেও ভয় মা’র

Aduri
ঢাকা জার্নাল: শহরে গৃহকর্মে এসে নির্যাতিত কিশোরী আদুরিকে নিয়ে তার মা শাফিহা বেগম গ্রামে ফিরতে চাইলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তার।
গ্রামের যাদের মাধ্যমে ১১ বছরের আদুরিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল, নির্যাতনের ঘটনা পুলিশকে জানানোয় তারা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শাফিহা।

আদুরি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর পল্লবী এলাকার একটি ময়লার স্তূপ থেকে অচেতন অবস্থায় আদুরিকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতনের পর তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল সেখানে। নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আদুরিদের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের জৈনকাঠি গ্রামে। তিন বছর আগে বাবা আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর নয় সন্তান নিয়ে গ্রামেই থাকছিলেন শাফিয়া (৬০)।

ঢাকা মেডিকেলে মেয়ের পাশে থাকা এই নারী শুক্রবার বলেন, মেয়ের ভালোর আশায় চুন্নু মিয়া নামের গ্রামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে দুই বছর আগে ঢাকায় কাজে পাঠান তিনি।

প্রথমে আদুরি চুন্নুর শ্বশুরবাড়িতে কয়েক মাস কাজ করে। তারপর শ্যালক সাইফুল ইসলাম মাসুদের পল্লবীর বাড়িতে তাকে কাজ দেন চুন্নু।

আদুরিকে নির্যাতনের অভিযোগে মাসুদের স্ত্রী নদীকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পল্লবী থানা পুলিশ।

আদুরি তার মাকে বলেছে, গৃহকর্ত্রী নদী তাকে দিনের পর দিন অত্যাচার করত।

দুপুরে হাসপাতালে মায়ের হাতে করলা ভাজা দিয়ে ভাত খেতে খেতে আদুরি বলে, “মা, আমারে গ্রামে নিয়া চল, আমি বাড়ি যাইতে চাই।”

স্বামীহীন সংসারে কষ্টই থাকলেও মেয়েকে নিয়েই এবার ফিরতে চান শাফিহা, তবে সেই সঙ্গে শঙ্কার কথাও জানালেন।

“চুন্নু মিয়া আমার ভাই নজরুলকে বলছে, তোমরা আদুরির ঘটনাটা থানা পুলিশরে জানাইয়া ভালো কর নাই। গ্রামে এলে কী হয়, দেখবা।”

শাফিহার ভয়, গ্রামে গেলে প্রভাবশালীদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে নিরাপত্তা পাবেন না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.