রাজধানীতে পুলিশের গুলিতে শিবির নেতা নিহত
ঢাকা জার্নাল: জামায়াতের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে ছাত্রশিবিরের এক নেতা নিহত হয়েছেন। আর বাংলাভিশনের ক্যামেরাম্যান জহিরুল ইসলাম জনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে কদমতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খলিলুর রহমান খলিল (২০) ঢাকা দক্ষিণ ৮৮ নং ওয়ার্ডের শিবির সভাপতি। সে ইসলামী স্টাডি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামে।
খলিলের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সকাল ৭টার দিকে কদমতলির দনিয়া এলাকায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। তখন দৌড়ে পালাতে গিয়ে গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে খলিল মারা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের গুলিতে খলিল মারা গেছে। স্থানীয় সেলিনা বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, হরতালের সমর্থনে ওরা মিছিল করছিল। এ সময় পিছন দিক থেকে পুলিশের একটি ভ্যান আসে। মিছিলের কাছাকাছি যাবার পর পরই গাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয়। এতে একটি ছেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ আরো কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ওই ঘটনার পর পুলিশের এক সদস্যকে কাউকে মোবাইল করে বলতে শোনা যায়, ‘মনে হয় মারা গেছে’। এর পরই একটি সিএনজিতে করে ছেলেটির লাশ নিয়ে যায় বলে সেলিনা জানায়।
ডেমরা জোনের সহকারী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিনহাজ আহমেদ জানান, নিহত খলিল ঢাকা দক্ষিণ ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিবির সভাপতি।
এদিকে হরতালের সমর্থনে যাত্রাবাড়ির সায়েদাবাদ ব্রীজের ঢালে ৮ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে শিবিরকর্মীরা।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১৪, ২০১৩।