রাজধানীতে গুলিতে ব্যবসায়ী নিহত
ঢাকা জার্নাল: রাজধানীর হাজারীবাগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
নিহতের নাম মোহাম্মদ জসিম (৫০)।
তিনি হাজারীবাগ এলাকায় চামড়ার ব্যবসা করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে লালবাগের ঘোড়া শহীদ মাজারে পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরে ইকবাল হোসেন (২৭) নামে এক যুবক সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাজারীবাগে গুলিবিদ্ধ হন জসিম। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।
স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, হাজারীবাগ রোডে ফুটপাতের একটি দোকানে বসে ছিলেন জসিম। দুই সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
বুকে দুটি গুলি লাগার পর জসিম সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন।
জসিম ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ছিলেন এবং তার সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। জসিমের মৃত্যুর খবর শুনে পিন্টুর স্ত্রীও হাসপাতালে যান।
এই বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জসিম ব্যবসা করতেন, এটা জানতে পেরেছি। তিনি রাজনীতি করতেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।”
হাজারীবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জসিম বিএনপির একজন সমর্থক ছিলেন।”
কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
লালবাগে গুলিবিদ্ধ ইকবালকে রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজারের সামনে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে বসে গল্প করছিলেন ইকবাল। ওই সময় তিন সন্ত্রাসী হেঁটে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ইকবালের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে বলে জানান মোজাম্মেল।
এদিকে ইফতারির পরপরই রাজধানীর আদাবরে মটর সাইকেলে করে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার সময় মাহমুদা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মাহমুদার বুকের বাম পাশে গুলি লেগেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা গত কিছু দিন ধরে ঘটে আসছে।
হাসান মাহমুদ নামে ওই এলাকার এক ইট ব্যবসায়ী বলেন, একটি গ্রুপ মনসুরাবাদ এলাকায় মহড়া দেয়ার সময় নিজের অবস্থান জানান দিতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এরই একটি মাহমুদার শরীরে বিদ্ধ হয়।
মাহমুদার কোলে ছয় মাসের শিশুকন্যা থাকলেও তার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে মাহমুদ জানান।
আদাবর থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, গুলির খবর শুনেই পুলিশ সেখানে যায়।
“স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনেছি, ৫/৬জন এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। তাদের হাতে লাঠি ও চাপাতিও ছিল।”
তারা আওয়ামী লীগের কেউ কি না- জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৯, ২০১৩।