রাইকিশোরী শ্রাবন্তী
শ্রাবন্তীর দিনযাপনে ইদানিং শনি লেগেছে। একে তো বরের সঙ্গে কাটাকুটি হয়ে যাবার পর মেয়ে আজকাল একটু মনমরা হয়েই থাকে! যতই হোক এতদিনকার বিয়ে-করা বর, ছাড়াছাড়ি হলে কার মাথাই বা ঠিক থাকে! তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া! তা এই বিষফোঁড়াটা আবার কোথা থেকে গজাল?
ফোঁড়াটাকে না কি বিষিয়েছে ‘খোকা ৪২০’! আর এই ‘বিশ’ তো সেই ‘বিষ’ নয় যে বিষে-বিষে বিষক্ষয় হবে! তাই বেশ পেকে-পুকেই উঠেছে ফোঁড়া। তা কী এমন করলেন আমাদের দেব দ্য সুপারস্টার? শোনা যাচ্ছে দেব না কি ইদানিং শ্রাবন্তীকে একটু এড়িয়েই যাচ্ছেন। এ আবার কী অলক্ষুনে কথা। এই তো সেদিন ‘আমরা খুব ভাল বন্ধু’ বলে কী গদগদ ইন্টারভিউটাই না দিয়েছিলেন দুজন! শুভশ্রীর সঙ্গে ব্রেক আপের পর আগের ভরা-শীতে দেব তো শ্রাবন্তীর সঙ্গেই জুটি বেঁধে কত মাচাই না করেছেন। ‘বুনো হাঁস’-এ পরিচলক পায়েলকে ‘হ্যাঁ’ বলে দিলেও শেষমেশ দেখা গেল সেই জায়গায় চলে এসেছেন শ্রাবন্তী! বন্ধুত্বের কত বাঘা বাঘা মনুমেন্ট-নিদর্শনই না তাঁরা তৈরি করেছেন! কিন্তু বছর ঘুরতে এ কোন তলানিতে এসে ঠেকেছে ওঁদের জিগরি দোস্তানা! সদ্য বর-হারা বন্ধুর সঙ্গে এইভাবে লুকোচুরি খেলতে পারে আরেক বন্ধু?
কী এমন ঘটল? শোনা যাচ্ছে দেব-এর এখন শাঁখের করাত অবস্থা। শ্যাম রাখি না কুল রাখি! আরে বাবা রাজীবও তো দেবের খুব ভাল বন্ধু। তার ওপর হিট-দেওয়া পরিচালক। বাটখারা বসানোর একটু ভুল-চুক হলে অন্যজন ছেড়ে দেবে না কি দেবকে? তাছাড়া সদ্য সদ্য দেবের একজন বন্ধুনিও জুটেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এমনিতেই ছেলের একটু নায়িকা-ঘেঁষা বদনাম আছে। তাই এসব চক্করে পড়ে ‘বাঁশ কেন ঝাড়ে এসো আমার ঘাড়ে’ বলে সবকিছু ঘেঁটে দেওয়া যায় না কি! দেবও এখন তাই ভালয় ভালয় নুসরত-পায়েলদের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাচা শুরু করেছেন। যতটা আলগোছে মেশা যায় আর কী!
তা, টলিপাড়ার নিন্দুকেরা কী বলছেন ঘটনাটা নিয়ে? এটাই বাতাসে ফিসফিস, শ্রাবন্তী তো কৃষ্ণের খুব ভক্ত। আহা রে! এখন বুঝুন রাধা হবার কী জ্বালা!