মোহাম্মদপুরে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৩৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁয় অনিরাপদ সিলিন্ডার ব্যবহারের কারণে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। এ সময় রেস্টুরেন্টের মালিক ও ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প, রিং রোড, তাজমহল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর এলাকায় গড়ে ওঠা ১১টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহারে সবাই উদাসীন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো, দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করা। কোথাও অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা মাত্রই আইনগত ব্যবস্থাসহ তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রহমান বলেন, ‘বেইলি রোডের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সারা দেশের মানুষ শোকে কাতর। মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় যেন এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন ভবনে থাকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানে আমরা দেখেছি, এসব হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সবচেয়ে বেশি অসতর্ক। কোন দুর্ঘটনা কীভাবে সামাল দেবেন, সে সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণা নেই। আমরা পুরো এলাকায় পর্যায়ক্রমে অভিযান শুরু করেছি। বিশেষ করে, সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার এবং অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’
অভিযানের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজিল হক ভূঞা বলেন, ‘সোমবার দুপুরের পর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মালিক ও ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এই এলাকার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর যথাযথ অনুমোদন রয়েছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু টেকসই, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন সবাই সচেতন হয়, সে বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। যাদের হোটেল-রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন নেই, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করছি। শৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত হোটল-রেস্তোরাঁ মালিকদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ৪৬ জন মারা যান। এ ঘটনার পর রবিবার (৩ মার্চ) রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) ধানমন্ডিতে অননুমোদিত রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় রাজউক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।