মুম্বাইয় গণধর্ষণকারীর গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ!
ঢাকা জার্নাল: বর্তমানে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা ভারত জুড়ে তোলপাড় চলছে। সেটি হচ্ছে, ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় মুম্বাইভিত্তিক একটি ইংরেজি সাময়িকীর শিক্ষানবিশ নারী ফটোসাংবাদিক এক পুরুষ সাংবাদিককে নিয়ে পরিত্যক্ত মিলের ছবি তুলতে গেলে গণধর্ষণের শিকার হন।
এরপর প্রতিবাদ শুরু হলে পুলিশ ধর্ষকদের ধরতে মাঠে নামে। ২৩ আগস্ট পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এরপর একে একে পাঁচ ধর্ষককেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
কিন্তু, সবার শেষে যাকে গ্রেফতার করা হয়, তার নাম সালিম আনসারী। পুলিশ তাকে দিল্লির কাছাকাছি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় সে বিহার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে। বিষয়টি সোমবার ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিতও হয়।
ভারতীয় বাংলা দৈনিক আনন্দ বাজার ও এনডিটিভিসহ অনেক সংবাদ মাধ্যমেই এ তথ্য প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে।
এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দ বাজার পত্রিকা লিখেছে, ‘…অভিযুক্ত পাঁচ যুবকই এখন পুলিশের জালে। পলাতক দুই অভিযুক্তের অন্যতম সালিম আনসারিকে রবিবার সকালে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ এবং মুম্বই অপরাধ দমন শাখার বিশেষ দল। অন্য অভিযুক্ত কাশিম বেঙ্গলিকে এ দিনই ভোর রাতে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
এরপর সালিম আনসারী সম্পর্কে আনন্দ বাজার উল্লেখ করে-
‘সালিম বিহার হয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষছিল বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে সালিমকে গ্রেফতার করা হয়।’
অন্যদিকে, এনডিটিভি জানায়, ‘প্রথম অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর সালিম আনাসারী (২৭) শুক্রবার রাতে ট্রেনে করে দিল্লি পালিয়ে যায়। এরপর সে বিহার হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।’
এনডিটিভি জানায়, ‘সালিম আনসারীর ফোন ট্র্যাক করে ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সালিম শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের কুরলা স্টেশন থেকে ট্রেনে করে দিল্লি পালিয়ে গেছে। এরপর পশ্চিম দিল্লির এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। এখান থেকে সে প্রথমে বিহার ও তারপর বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল।’
উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইভিত্তিক একটি ইংরেজি সাময়িকীর একটি পুরুষ সাংবাদিক ও ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষানবিশ ফটোসাংবাদিক পরিত্যক্ত একটি কারখানার তথ্য ও ছবি তুলতে যায়।
এরপর কারখানার কাছে গিয়ে আড্ডারত কয়েক জন যুবকের কাছে ওই মিলটির ঠিকানা জানতে চান। তারা সাংবাদিক দুইজনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ওই পরিত্যক্ত কারখানার ভেতরে যান।
এক পর্যায়ে পাঁচ যুবক পুরুষ সাংবাদিককে বেল্ট দিয়ে বেঁধে মারধর করে আহত করে। অপরদিকে, নারী চিত্রসাংবাদিককে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। এ সময় নারী সাংবাদিক তার দামি ক্যামেরা, আইফোন তাদের দিতে চেয়েও রেহাই পাননি।
বর্তমানে নারী চিত্র সাংবাদিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারপরও সে জানিয়েছে, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে আবারও এ পেশায় ফিরে আসবে।
এদিকে, এ ঘটনার পর পরই ভারত যেন গর্জে ওঠে তীব্র প্রতিবাদে!
ঢাকা জার্নাল , আগস্ট ২৬, ২০১৩