Leadশিক্ষা-সংস্কৃতি

মিয়ানমারে গোলাগু‌লি, ৬ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা বাংলাদেশ সীমান্তের

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপা‌রে মিয়ানমা‌র অং‌শে আবারও গোলাগুলি চলছে। এই গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশের একজন নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ভয় আর আতঙ্কে সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতভর ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত রাত থেকেই প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিমকুলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত রাত থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।’

দেড় বছর আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ শুরু হয়। ২০২২ সালে জুলাই থেকে শুরু হয়ে টানা ছয় মাস যুদ্ধ চলে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা জানান, গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিন (রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইন জানান, সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিসকাতুন নবী দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’