মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকে তারা সড়কে অবস্থান নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পোশাকশ্রমিকরা মিরপুর ২, ৭, ১০ ও ১৩ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় এই এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল ৯টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে ১৪ নম্বরের দিকে চলে যান তারা।
এ সময় কয়েকটি পোশাক কারখানার ফটক ভাঙচুর করতে দেখা যায় শ্রমিকদের। সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে আবার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে যান।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পোশাকশ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শ্রমিকরা। একই দাবিতে আজ আবারও রাজপথে নামেন শ্রমিকরা।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজারো শ্রমিকরা একত্র হয়ে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে বিক্ষোভ আন্দোলন করে ১০ নম্বর গোল চত্বর ও মিরপুর ২ নম্বর ঘুরে মিরপুর ১ নম্বরে এসে অবস্থান নেন।
পোশাকশ্রমিকরা জানান, মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে গিয়ে তারা আবার বিক্ষোভ মিছিল করে একই পথ ধরে পল্লবী গিয়ে তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করবেন।
মো. আরিফ হোসেন নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা বেতন বাড়ানোর জন্য গতকাল আন্দোলন করতে নামি। কিন্তু গার্মেন্টস মালিকরা তাদের ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আরও অনেকে আহত হয়। মহিলাদেরও মারে ওই গুন্ডারা। তাই আমরা আজ আবারো রাস্তায় নেমেছি।
কাঠ, বাঁশ, পাইপ নিয়ে শ্রমিকরা স্লোগানসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
বুধবার দুপুর ১২টায় ডিএমপির পল্লবী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, আজ সকালে থেকে আবারও গার্মেন্টস শ্রমিকরা মিরপুর ১০ মোড়ে অবস্থান করে। কিছুক্ষণ অবস্থান করে বিক্ষোভকারী আশেপাশের চারদিকে ছড়িয়ে যায়। বর্তমানে পল্লবীর দিকে কিছু শ্রমিক দেখা যাচ্ছে। অন্যরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
গতকাল আন্দোলনের সময় এক শ্রমিক মারা যায়ওয়ার অভিযোগ করেন পোশাকশ্রমিকরা। বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে ওসি বলেন, গতকালও মিরপুর ১১ নম্বরে পল্লবী গার্মেন্টসের শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় অনেকে বলাবলি করছেন একজন নিহত হয়েছে। আসলে কাল এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। যারা এ খবরটি ছড়াচ্ছে, গুজব ছড়াচ্ছে। গুজবে কেউ কান দেবেন না। এ খবরটি সম্পর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।