ভিসানীতির প্রভাব পোশাক রফতানিতে পড়বে না: বিজিএমইএ
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির ফলে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি শহিদুল্লা আজিম, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শিদী, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি যে কারও ওপর হতে পারে। আবার আমি ৩০ বছর ধরে পাঁচ বছর করে ভিসা পাই। এরপরও আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর আমাকে বলতে পারে, তোমার ভিসা বাতিল করা হলো। এভাবেও কারও ভিসা বাতিল করা হয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কারও ভিসা বাতিল হলেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। আমরা করোনার সময় কোনও দেশে যেতে পারিনি। এরপরও আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ভিসা বাতিল হলেও বিকল্পভাবে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া যাবে।
আকু পেমেন্টে কিছু ব্যাংকের ওপর স্যাংশন বিষয়ে তিনি বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকু হচ্ছে একটি আন্তঃআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা। এর পেমেন্টে কয়েকটি ব্যাংকের ওপর স্যাংশন হয়েছে। তবে সেটা অন্য কোনোভাবে পেমেন্ট করা যাবে। সেভাবেই সরকার কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়। ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি বিজিএমইএর সদস্য, দুটি বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্য এবং এ দুই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়।
পোশাক কারখানার মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান ফারুক হাসান।