ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং কলেজটির শিক্ষক প্রতিনিধি নন-এমপিও সহকারী শিক্ষক ড. ফারহানা খানমের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তদন্তকাজে তাকে সহায়তা করার জন্য শিক্ষা ক্যাডারের আরও দুই কর্মকর্তাকে কমিটিতে যুক্ত করেছেন।
তারা হলেন সরকারি বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহাযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম।
সোমবার (২১ আগস্ট) অফিস আদেশের এই দুই সদস্যকে তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের গত ২৫ জুলাই মোতাবেক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (সাবেক) কামরুন নাহার ও শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করার জন্য দুজন বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে মনোয়ন করা হলো।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও কলেজটির শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানমের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর।
এদিকে সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত ৮ আগস্ট তাকে দুদক কার্যালয়ে ডেকেছিল তদন্ত করার জন্য।
দুদকের গত ৬ আগস্টের চিঠিতে বলা হয়, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে বিধিবহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা করে সম্মানী নেওয়া বিপুল পরিমাণ আপ্যায়ন বিল গ্রহণ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় আদায় করা অতিরিক্ত ৫০ লাখ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে আপনার বক্তব্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।’
অভিযোগ ও তদন্ত বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে আবার নিয়োগের জন্য আমার ফাইল উঠেছিল, তখন অভিযোগ করা হয়েছিল। একটি গ্রুপ এখানে কাজ করেছে, বাণিজ্য করেছে। তারা আমার সময়ে লুটপাট করতে পারেনি। ভর্তিতেও কাউকে একটি সিট দেয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব জায়গায় অভিযোগ করেছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমি চেষ্টা করেছি ভিকারুননিসাকে আগের অবস্থায় ফিরেয়ে নিতে। ড. ফারহানা শিক্ষক প্রতিনিধি ছিলেন, সে জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’