ভারতের বিপক্ষে খেলার চাপ বাংলাদেশকে আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে
ঢাকা জার্নাল ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। লঙ্কান এই কোচকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। গেল বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের পারফরম্যান্সের অবনতি হতে থাকে। এর আগে সাকিব-তামিম বিতর্ক থেকে শুরু করে দলের সার্বিক অবনতির জন্য দায়ী করা হয় এই কোচকেই। তবে কিছুদিন আগে তার হাত ধরেই আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বড় সাফল্য। সেটি হলো প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা।
পাকিস্তান সিরিজের পরই টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পদত্যাগ করতে হবে, এমন দাবিতে মুখোরিত ছিল বাংলাদেশের গোটা ক্রিকেট পাড়া। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে ইতিহাস গড়ার পর এই কোচকে ভারত সিরিজের জন্যও রেখে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সবাই আশাবাদী, পাকিস্তানের মাটিতে যেমন সাফল্য আদায় করে এনেছে হাথুরুসিংহের দল, তেমনভাবে ভারতের মাটিতেও নতুন ইতিহাস রচনা করবে শান্তরা।
চেন্নাইতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আজ গণমাধ্যমের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন শান্ত-সাকিবদের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দলের সার্বিক প্রস্তুতি এবং ভারতকে মোকাবেলা করার লক্ষ্য সম্পর্কে জানালেন তিনি।
‘পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। তবে ওই সিরিজের ফলাফল নয়, যেভাবে আমরা খেলেছি, বিশেষ কিছু পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি, সেটা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। আমরা দুই ম্যাচেই পিছিয়ে পড়েছিলাম। আমরা যেভাবে এরপর ম্যাচে ফিরে এলাম, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় এসে হাল ধরেছে। এই সিরিজে আমাদের বিশ্বাসটা বেড়ে গেছে অনেক। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে পরিপূর্ণ দল।’
ভারতের মাটিতে তাদের শক্তিশালী দলের চাপ কিভাবে সামলাবে টাইগাররা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘চাপ হচ্ছে একটা সম্মানের মতো বিষয়। এটা আমাদের আরও বেশি বিশ্বাসী করে তোলে, কোনো একটা লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে অনুপ্রেরণা দেয়। তবে এরপরই আমাদেরকে বুঝতে হবে আমাদের অবস্থানটা কোথায়, আমাদের শক্তি আর দুর্বলতা কোথায়, আমরা সেটা ভালোভাবেই বুঝি।’
তবে বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষেই খেলতে নামছে বাংলাদেশ, একথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন হাথুরুসিংহে, ‘ভারতে আসা ও তাদের বিপক্ষে খেলাটা এখনকার দিনে বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। তো সেরাদের বিপক্ষে খেলার বিষয়টা মাথায় রাখলেই নিজেদের অবস্থানটা পরিষ্কার হয়ে যায়।’
এছাড়াও দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগ নিয়ে সন্তুষ্ট আছেন কোচ, ‘আমাদের বেশ ভালো কিছু ফাস্ট বোলার আছে। আমাদের স্পিন আক্রমণও বেশ অভিজ্ঞ। আমাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা আছে বেশ, কারণ দুটো, এক আমাদের দুই স্পিনার আছেন যারা প্রকৃত ব্যাটার যাদের টেস্ট সেঞ্চুরি আছে। আর আমাদের উইকেটকিপাররাও আমাদের মূল ব্যাটার। আমরা আশা করি এই সিরিজে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারব।’