‘ভাঙ্গারি দোকানি’ ও নেশাগ্রস্তরাও ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে
ঢাকা জার্নাল: ছাত্রদলের কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ‘ভাঙ্গারি দোকানি’ ও নেশাগ্রস্তদেরও নতুন কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করেন ছাত্রদল নেতারা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম রয়েল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ আদেল মোহাম্মদ জুয়েল, জাকির হোসেন, এম আর চৌধুরী মিল্টন, ক্রীড়া সম্পাদক আহসানুল হক রুবেল, অর্থ সম্পাদক আমজাদ হোসেন জুয়েল, আপ্যায়ন সম্পাদক রুহুল ইসলাম মনি, সহ-প্রচার সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান এই সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
গত ১৫ এপ্রিল ছাত্রদলের ২৯১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইদুর রহমান দাবি করেন, কমিটির ৭০ সদস্যই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
তিনি জানান, ৩১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া আদনান আলম বাবুকে দেয়া হযেছে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক পদ, মাইটিভির ব্যুরো প্রধান সোয়েব খন্দকারকে দেয়া হয়েছে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা ব্যাংকে কর্মরত ওমর ফারুক ডালিকে দেয়া হয়েছে সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদ ও স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
“রাজধানীর নবাবপুর রোডের ভাঙ্গারি দোকানদার খোরশেদ আলমকে দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলেনে অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত ও আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে অছাত্রদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে প্রভাব খাটিয়েছেন।
যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিটি পুনর্গঠনের জন্য খালেদা জিয়া ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পদ না পাওয়া এই নেতারা।
আগামী ১১ জুনের মধ্যে এই বিবেচনা করা না হলে কর্মসূচি দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
ঢাকা জার্নাল, জুন ৮, ২০১৩।