বোস্টনে ব্যাপক পুলিশি অভিযান, নিহত ১
ঢাকা জার্নাল: আমেরিকায় বোস্টন বোমা হামলার জন্য দায়ী বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশ এক অভিযান চালালে একজন সন্দেহভাজন প্রাণ হারিয়েছে।
দুজন সন্দেহভাজনকে ধরার জন্য পুলিশের গাড়ি ধাওয়ায় এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ওই ব্যক্তি মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চিকিৎসকরা বলছেন – ওই ব্যক্তির দেহে একাধিক গুলির আঘাত ছিল এবং সম্ভবত কোনো বিস্ফারণ থেকেও তার শরীরে আঘাত লেগেছিল।
অন্য আরেক সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালিয়ে গেছে এবং তাকে ধরার জন্য ব্যাপক পুলিশি অভিযান চলছে।
নগর কর্তৃপক্ষ ম্যাসাচুসেটসের উপকূল এলাকায় সবরকম গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে এবং এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
তারা বলছে পলাতক ব্যক্তি তাদের ভাষায় বিপদজনক একজন সন্ত্রাসী। এলাকার দোকনপাট, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ওয়াটারটাউন এলাকায় কোনো গাড়ি ঢুকতে বা বেরতে দেওয়া হচ্ছে না।
বোস্টনের পুলিশ কমিশনার এড ডেভিস বলেছেন ‘ঘটনা ঘটছে খুব দ্রুত। আমাদের কাছে প্রচুর তথ্য আসছে। ওয়াশিংটনে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে আমরা কাজ করছি , সবরকম সূত্র থেকে আসা তথ্য ও সবরকম তথ্যভান্ডার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ম্যাসাচুসেটস্ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যাম্পাসে একজন পুলিশ অফিসার গুলিতে নিহত হবার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার তাদের অভিযান শুরু করে। সন্দেহভাজন দুজন বন্দুক দেখিয়ে একটি গাড়ি চুরি করে এবং তাদের ধাওয়া করা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা এবং গুলি ছোঁড়ে। দ্বিতীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ধাওয়ার সময়ে আহত হয়েছে।
এফবিআই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে বোমা হামলার দিন একজনের মাথায় কালো টুপি পরা ছিল এবং অন্যজনের মাথায় ছিল সাদা রঙের টুপি।
পুলিশ বলছে, তারা জাতিগতভাবে চেচনীয় এবং দুই ভাই। পালিয়ে যাওয়া ১৯ বছরের তরুণের নাম যোখার যারনায়েফ এবং গত অন্তত এক বছর সে আমেরিকায় বসবাস করছে। তার মৃত ভাইয়ের নাম তামেরলান।