বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ৩৩ কাউন্সিলর
ঢাকা জার্নাল : ফেনী জেলার তিন পৌরসভায় সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলে ৪৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত ফেনী সদর, পরশুরাম ও দাগনভূঞা পৌরসভায় ৩৩টি ওয়ার্ডে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল না হলে ভোটের আগেই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হবেন। এসব প্রার্থীর প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তবে ওই তিন পৌরসভাতেই মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেনী পৌরসভায় ১৬ ও দাগনভূঁইয়া পৌরসভায় ৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। এরা হলেন- ফেনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে আশ্রাফুল আলম গীটার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলর কোহিনুর আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবুর রহমান ভূঞা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়নাল আবদীন লিটন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাহার উদ্দিন বাহার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মাহতাব উদ্দিন মুন্না, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মেহেদী আলম চৌধুরী রুবেল, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আবু ইউসুফ ভূঞা বাদল এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মানিক।
এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাহেদা আক্তার চাঁপা; ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তার; ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিনা চৌধুরী শেলী; ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আমেনা মজুমদারের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিন নারী ও চার পুরুষ প্রার্থী কাউন্সিলর হতে যাচ্ছেন। এরা হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান সবুজ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হানিফ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহিউদ্দিন জুয়েল। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডে মারজাহান হোসেন; ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহনাজ আক্তার এবং ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহান আরা বেগম বিনাভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা খানম জানান, এসব ওয়ার্ডে অন্য প্রার্থী না থাকায় এদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
এ ছাড়া পরশুরাম পৌরসভায় ১২টি কাউন্সিলর পদের মধ্যে নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতা খোরশেদ আলম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসুল আহাম্মদ মজুমদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাহাদাত চৌধুরী।
পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে গতকাল সাধারণ কাউন্সিলরের নয়টি পদের নয়টিতেই এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে একটি ওয়ার্ডে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ অবস্থার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন ফেনীর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোয় দলের নেতা-কর্মীরা তিনটি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।
ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫।