বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত
ঢাকা জার্নাল: দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার ভারতের নয়া দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই ‘পোলিওমুক্ত সনদ’ দেয়া হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক সনদ কমিটির সদস্য অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এই অর্জন এ অঞ্চলের জন্য একটি মাইলফলক।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ১১ দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘পোলিওমুক্ত’ বাকি দশ দেশ হলো: ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর।
গত তিন বছরে এই দেশগুলোতে একজনও পোলিও রোগী পাওয়া যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলকে ‘পোলিওমুক্ত’ সনদ দিল ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় জানায়, ১৯৭৯ সালে ইপিআই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। আশির দশকে বাংলাদেশে অনেক শিশু পোলিও আক্রান্ত হয় এবং পঙ্গুত্ব বরণ করে। সেসময় বাংলাদেশ বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত করা ছিল চ্যালেঞ্জের বিষয়।
কিন্তু বিশ্ব ইপিআই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০০ সালে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। নিয়মিত ইপিআই (টিকাদান কর্মসুচি) চালানোর ফলে ১৯৮৫ সালের আগে যেখানে ৫ বছরের নিচে মাত্র ২ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা যেত। সেখানে ১০ বছরের মাথায় এ সফলতা দাঁড়ায় ৬০ শতাংশে। ২০১৪ সালে এসে শতভাগ শিশুকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হয়। ৬ লাখ স্বেচ্ছাসেবকের প্রচেষ্টায় এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়।
এর আগে ২০০৬ সালে সর্বশেষ একজন পোলিও রোগী সনাক্ত হয় বাংলাদেশে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাংলাদেশ প্রতিনিধি তুষারা ফার্নান্দোর জানান, বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৪২০টি পোলিও রোগী সনাক্ত করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে বাংলাদেশের কোনো রোগী নেই। বিগত ১০ বছর বাংলাদেশে এ সফলতা ধরে রেখেছে।
ঢাকা জার্নাল, ২৭ মার্চ, ২০১৪।