বাংলাদেশের সীমানায় মহাসেন
ঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশের সীমানায় চলে এসেছে মহাসেন। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ উপকূলীয় এলাকায় মহাসেন আঘাত হানতে পারে এমন ধারনা করলেও তবে তা সকালেই আঘাত করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম জানিয়েছিলেন, সকাল নাগাদ মহাসেনের আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে ঝড়টি পটুয়াখালী (খেপুপাড়া), টেকনাফ উপকূলে আঘাত হেনেছে। আবহাওয়াবিদেরা আশা করছেন, ৩-৫ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করবে।
শাহ আলম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৬২ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৯০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।”
বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় একশ’ কিমি থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে বর্তমানে ৭ নম্বর ও মংলা সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের বর্ধিতাংশের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন চার ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি হওয়ায় এবং বাতাসের গতিবেগ খুব বেশি না থাকায় ‘মহাসেন’ ইতিপূর্বে আঘাত হানা ‘সিডর’ বা ‘আইলা’র মতো বিধ্বংসী হবে না। তাছাড়া এখন যেহেতু অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে করে ‘মহাসেন’ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’এর কারণে এখনো চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ এই বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওবিদরা জানান, অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্রগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বসেরও আশংকা রয়েছে। মহাসেনের কারণে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশংঙ্কা না থাকলেও অতি এবং ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের নিহত ও আহত হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। এ কারণে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জেলায়।
এদিকে বুধবার রাতেই সামুদ্রিক জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় মহেশখালী-কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।