পিছিয়ে গেলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত কিংবা বাতিল হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক প্রতিযোগিতা। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্যও ঝুলছিল সুতোয়। যদিও স্থগিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই ছিল প্রবল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। আজ (সোমবার) আইসিসির বোর্ড সভা শেষে এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এ বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার হওয়ার কথা ছিল কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অনেক আলোচনার পর ২০২০ সালের প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে আইসিসির বোর্ড সভায়।
আইসিসি টানা তিন বছর তিনটি প্রতিযোগিতা আয়োজনে সম্মত হয়েছে। যেখানে রয়েছে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার প্রথমটি ২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ও পরেরটি ২০২২ সালে একই সময়ে। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আইসিসি অবশ্য নিশ্চিত করেনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুটি কোথায় হবে। এফটিপি অনুযায়ী, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত।
নতুন সিদ্ধান্তে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ সালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, নাকি ভারতের আসর পিছিয়ে ২০২২ সালে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি আইসিসি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হতে যাওয়া মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবশ্য বাতিল করা হয়নি।
২০২০ সালে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে শঙ্কায় ছিল আয়োজক অস্ট্রেলিয়াই। গত মে মাসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস জানিয়েছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন ‘ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ’। গত মাসে সিএ চেয়ারম্যান আর্ল এডিংসের বক্তব্যেও পাওয়া যায়নি আশার আলো।
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনেক সিরিজ স্থগিত হয়ে গেলেও আইসিসি নির্ধারিত সূচিতে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ব্যাপারে ছিল আশাবাদী। এজন্য সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছে তারা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থগিত করার সিদ্ধান্তই নিতে হয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে।