পযটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্রের ভেতরে নেট স্থাপন
ঢাকা জার্নাল: পযটকদের নিরাপত্তায় পযটন এলাকা কক্সবাজার সৈকতে থেকে একটু দুরে সমুদ্রের ভেতরে নেট স্থাপন করার উদ্যেগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পযটন মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পযটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, প্রতিবছর ভাটার সময় অসাবধানতা বশত অনেক পযটক সমুদ্রে নামার পর দূর্ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনা এড়াতে কক্সবাজারের একটি এলাকা সুইমিং জোন করে সৈকতের একটু দুরে এই নেট স্থাপন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডি-৮ এর মহাসচিব সাইয়েদ আলী মোহাম্মদ মৌসাভী এর সাথে সাক্ষাত শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নের জন্য নানা উদ্যেগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুইমিং জোন ছাড়াও সেখানে স্পোর্টস জোন এবং শৈবাল জোন করা হবে। দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পযন্ত বেসরকারী উদ্যেগে কেবল কার স্থাপন করার প্রস্তাব রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে মেয়েদের ৮টি টিমের খেলা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে এবং কক্সবাজার স্টেডিয়ামের কাজ দ্রুত শুরু হবে’ বলেন মন্ত্রী।
দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দর নির্মানে চীনের সাথে আলোচনা হচ্ছে এবং ভাসমান রেস্তোরা স্থাপনসহ বিদেশী বিনিয়োগের নানা উদ্যেগের কথা জানান মন্ত্রী।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের বোঝানো হয়েছে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে স্থানীয়দের ক্ষতি হবে।
ডি-৮ মহাসচিবের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে পযটন, বিমান ও বানিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাম্প্রতি বিমান বন্দরে গুদামে আগুনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একটি কোম্পানী অবৈধভাবে ওয়ের্ডিং করার সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, এ ঘটনার সাথে দায়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিমান বন্দর এলাকায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আরো আধুনিক করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৬, ২০১৩