পথশিশুদের সুরক্ষায় সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালা দাবি
ঢাকা জার্নাল: পথশিশুদের সুরক্ষায় সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ‘ষ্ট্যান্ডিং কমিটি অন সোস্যাল প্রোটেকশন অব ষ্ট্রিট চিলড্রেন’।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সিপ-ডিপিএসসি প্রকল্প আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সুনির্দ্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা গেলে আগামীতে আর কোনো শিশুকে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নামতে হবে না।
‘পথশিশুদের উন্নয়নে কয়েকটি সুপারিশ’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এক সময়ের পথশিশু ও বর্তমানে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. শাহীন আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপ-এর কর্মকর্তা রফিকুল বারী ও মো. মনিরুজ্জামান মুকুল, ট্রাকশ্রমিক ইব্রাহিম খালাসী ও আব্দুল মজিদ এবং পথশিশু রেহানা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নানা কারণে শিশুরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে মাজারে, খোলা আকাশের নিচে, রাস্তার ওপরে, ব্রিজের নিচে, মার্কেট, পার্কে, নৌটার্মিনাল, বাস ও রেল ষ্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে।
এ সব শিশুরা ভাঙারি সংগ্রহ, বাদাম বিক্রি, কুলির কাজ, সিগারেট বিক্রি, হোটেলে পানি দেওয়া, হোটেল বয়, গাড়ি ধোয়ামোছা, হকার, বাসা-বাড়ির কাজ, নেশাদ্রব্য বিক্রি, ভিক্ষা, চুরি এবং পকেট কাটাসহ নানা ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
এরা সাধারণত চুলকানি, পেট খারাপ, জ্বর, জন্ডিসসহ নানা রোগে ভোগে। জড়িয়ে পড়ে গুল, গাঁজা, বিড়ি, সিগারেট ও ড্যান্ডির নেশাতেও। এ ছাড়া পুলিশ ও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সব শিশুর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। তা না হলে প্রকৃতপক্ষে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তাই, জাতীয় শিশুনীতির মতো পথশিশুদের উন্নয়নে একটি পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের ১১ লাখ পথশিশুকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিপ-ডিপিএসসি প্রকল্পের উদ্যোগে রাজধানীর গাবতলী ও মিরপুর এলাকায় ৮৫ জন ছেলেশিশু ও ৫০ জন মেয়েশিশুকে নানা রকম সেবা দেওয়া হয়। পথশিশুদের পুনর্বাসন ছাড়াও তাদের সুশিক্ষিত করেও গড়ে তোলা হচ্ছে।
ঢাকা জার্নাল, জুন ২৭, ২০১৩