‘নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশবাসীকে দমানো সম্ভব নয়’
ঢাকা জার্নাল: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “ভুলের স্বর্গে হাবুডুবু খাচ্ছেন, যতই নির্যাতন-নিপীড়ন চালান না কেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে দেশবাসীকে দমানো সম্ভব নয়। বরং আপনারাই পেছনের দরজা প্রশস্ত করে রাখুন, জন আক্রোশে পালাতে গিয়ে যেন হোঁচট খেতে না হয়।”
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ পরামর্শ দেন।
দুদু জানান, রোববার আদালতের দেওয়া রায়ের ওপর নির্ভর করছে ১৮ দলীয় জোটের পরবর্তী কর্মসূচি। এর ওপর ভিত্তি করেই বিএনপি ও জোটের শীর্ষ নেতারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।
এদিন সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের ‘বোমাবাজি’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, “ছাত্রদল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন। তাদের মধ্যে চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে।”
দুদু বলেন, “আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলেও, আজকে তারা এটা উপভোগ করেছে। আর একজন সাংবাদিক বন্ধু ভোরে ঘটনাটি কাভার করার জন্য চলে এসেছেন। এটা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। আমরাও না হয় বিষয়টি উপভোগ্য হিসাবে নিই।”
তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে জাতি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত বলেও দাবি করেন দুদু।
তিনি বলেন, “আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের কর্মসূচির মধ্যেই আছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী হরতাল-অবরোধসহ একের পর এক কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করা জাতি, তাই এই ইস্যুতে জাতি আবারও যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।”
শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শমসের মালিথাকে হত্যা করেছে- অভিযোগ করে তিনি বলেন, “অবস্থাদৃষ্টে প্রমাণ হয়- সরকার ছাত্রলীগ-যুবলীগকে হত্যার লাইসেন্স দিয়েছে।”
দুদু বলেন, “একের পর হত্যাকাণ্ডে দেশের মানুষ আজ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও ভীত সন্ত্রস্ত। তারা বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ও যুব-ছাত্রলীগকে পশুশক্তিতে পরিণত করেছে।”
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সম্মেলনে আরো ছিলেন- বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।