নির্বাচন সুষ্ঠু, অসাংবিধানিক সরকার আনবার চেষ্টা করবেন না
ঢাকা জার্নাল: মহাজোট ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার অধিবেশনের শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারের জবাবে বিরোধী দলীয় সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাজেট অধিবেশনের পর সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহবান জানালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিন বলেন, বাংলাদেশে আর কোন অসাংবিধানিক সরকার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আর অসাংবিধানিক সরকার আনবার চেষ্টা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলেকশন মানেই ছিলো ১০ হোন্ডা, ২০ গুণ্ডা। কিন্তু আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ দিন ধরে সংগ্রাম করেছি। মহাজোটের আমলে ৫ হাজার ৬৪৬টি নির্বাচনে ২৩ হাজার ১২৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। কোন সমস্যা হয়নি।
সদ্য সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দল সমর্থিত চার মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, সরকারের জয় হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনগণ তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিয়েছে। যাকে ভোট দিয়েছে সে নির্বাচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে আমাদের সময় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আমরাই ভোট ও ভাতের অধিকার চেয়েছিলাম।
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতাকালের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন আর্মি রুল ভঙ্গ করে। নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে সংবিধান লংঘন করে। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে, হ্যাঁ-না ভোট করে। রাষ্ট্রপতি ভোট, সংসদ সদস্যসহ প্রত্যেকটা ভোট ডাকাতি করে। জনগণ যদি একটু স্মরণ করে ওই সময় নির্বাচন মানে কি ছিল।
তিনি বলেন, কালো টাকা ছড়ানো ছাড়া ভোটের কোন ব্যাপার ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাও, সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে পারে না এটাই ছিলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যখন মহীউদ্দিন চৌধুরী জিতলেন, তখন বিএনপি নেতারা ভোট কেন্দ্র ঘেরাও করে রেখেছিল। ঢাকা-১০ ও খুলনা-৪ এবং মাগুরা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। মিরপুরের উপ নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে, এরশাদের আমলে এবং বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতার আমলেও যত নির্বাচন হয়েছে, সবটাতেই ছিলো আতঙ্ক। যেনো ইলেকশন মানে নির্যাতন, ইলেকশন মানেই ভোটের বাক্স ছিনতাই। কিন্তু আজকের নির্বাচনে ভোট বাক্স স্বচ্ছ। ভোটও স্বচ্ছ হয়েছে। এটা আমারই দাবি ছিল। আমরাই প্রথমে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করে নির্বাচন করতে চেয়েছিল। যাতে চুরি করে ভোট করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই ভোট চুরি, এটি একটি কালচার। আমরাই চেয়েছিলাম ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে।আমরা চেষ্টা করে ভোটকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি, যাতে জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। এটা ছাড়া কোন সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে না।
খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা মামলায় মোকাবেলা করতে চান না। মামলার বিষয়ে লজ্জা পান, ভয় পান। আজকেও উনি (খালোদা জিয়া) কোর্টে যাননি। কোর্টে বলেছেন- পার্লামেন্টের ব্যস্ততা আছে। কই উনিতো পার্লামেন্টেও নেই। কোর্টের কাছেও উনি মিথ্যা বলেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় না হলেও দল চিহ্নিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এক হয়েছে, যারা গণতন্ত্র চায়নি তারা এক হয়েছে, ক্ষমতা দখলকারীরা এক হয়েছে। তাদের টাকা পয়সার অভাব নেই। আজকের পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- একজন রিকশাওয়ালা বলেছেন, বিএনপি প্রার্থী তাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে এক হাজার টাকা দিয়েছেন। ওই পরিবার ১০ হাজার টাকা পেয়েছে।
তিনি বলেন, অবশ্য এটা ভাল। সেই ১০ হাজার টাকায় সে একটা রিক্শা কিনতে পারবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে গরিব মানুষটাও টাকা পেল। নির্বাচন অবাধ না হলে ওই রিক্শা চালক টাকা পেতেন না। যদি ভোট চুরি করতে পারতো তাহলে ওই গরিব মানুষকে সেই টাকাটা দিতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের যখন ফলাফল হচ্ছে, তখন আমি আমাদের নেতা-কর্মীদের বলে দিয়েছি- যেন কোন রকম গণ্ডগোল না হয়। মানুষ যাকে ভোট দেবে সে পাশ করবে।
নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পদ্ধতি চলে এসেছে।
মহাজোট ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার অধিবেশনের শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলীয় সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাজেট অধিবেশনের পর সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহবান জানালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিন বলেন, বাংলাদেশে আর কোন অসাংবিধানিক সরকার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আর অসাংবিধানিক সরকার আনবার চেষ্টা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলেকশন মানেই ছিলো ১০ হোন্ডা, ২০ গুণ্ডা। কিন্তু আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ দিন ধরে সংগ্রাম করেছি। মহাজোটের আমলে ৫ হাজার ৬৪৬টি নির্বাচনে ২৩ হাজার ১২৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। কোন সমস্যা হয়নি।
সদ্য সমাপ্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দল সমর্থিত চার মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, সরকারের জয় হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনগণ তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিয়েছে। যাকে ভোট দিয়েছে সে নির্বাচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে আমাদের সময় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আমরাই ভোট ও ভাতের অধিকার চেয়েছিলাম।
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতাকালের উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন আর্মি রুল ভঙ্গ করে। নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে সংবিধান লংঘন করে। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে, হ্যাঁ-না ভোট করে। রাষ্ট্রপতি ভোট, সংসদ সদস্যসহ প্রত্যেকটা ভোট ডাকাতি করে। জনগণ যদি একটু স্মরণ করে ওই সময় নির্বাচন মানে কি ছিল।
তিনি বলেন, কালো টাকা ছড়ানো ছাড়া ভোটের কোন ব্যাপার ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাও, সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে পারে না এটাই ছিলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যখন মহীউদ্দিন চৌধুরী জিতলেন, তখন বিএনপি নেতারা ভোট কেন্দ্র ঘেরাও করে রেখেছিল। ঢাকা-১০ ও খুলনা-৪ এবং মাগুরা নির্বাচনে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। মিরপুরের উপ নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে, এরশাদের আমলে এবং বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতার আমলেও যত নির্বাচন হয়েছে, সবটাতেই ছিলো আতঙ্ক। যেনো ইলেকশন মানে নির্যাতন, ইলেকশন মানেই ভোটের বাক্স ছিনতাই। কিন্তু আজকের নির্বাচনে ভোট বাক্স স্বচ্ছ। ভোটও স্বচ্ছ হয়েছে। এটা আমারই দাবি ছিল। আমরাই প্রথমে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করে নির্বাচন করতে চেয়েছিল। যাতে চুরি করে ভোট করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই ভোট চুরি, এটি একটি কালচার। আমরাই চেয়েছিলাম ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে।আমরা চেষ্টা করে ভোটকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি, যাতে জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে। এটা ছাড়া কোন সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে না।
খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা মামলায় মোকাবেলা করতে চান না। মামলার বিষয়ে লজ্জা পান, ভয় পান। আজকেও উনি (খালোদা জিয়া) কোর্টে যাননি। কোর্টে বলেছেন- পার্লামেন্টের ব্যস্ততা আছে। কই উনিতো পার্লামেন্টেও নেই। কোর্টের কাছেও উনি মিথ্যা বলেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় না হলেও দল চিহ্নিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এক হয়েছে, যারা গণতন্ত্র চায়নি তারা এক হয়েছে, ক্ষমতা দখলকারীরা এক হয়েছে। তাদের টাকা পয়সার অভাব নেই। আজকের পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- একজন রিকশাওয়ালা বলেছেন, বিএনপি প্রার্থী তাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে এক হাজার টাকা দিয়েছেন। ওই পরিবার ১০ হাজার টাকা পেয়েছে।
তিনি বলেন, অবশ্য এটা ভাল। সেই ১০ হাজার টাকায় সে একটা রিক্শা কিনতে পারবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে গরিব মানুষটাও টাকা পেল। নির্বাচন অবাধ না হলে ওই রিক্শা চালক টাকা পেতেন না। যদি ভোট চুরি করতে পারতো তাহলে ওই গরিব মানুষকে সেই টাকাটা দিতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের যখন ফলাফল হচ্ছে, তখন আমি আমাদের নেতা-কর্মীদের বলে দিয়েছি- যেন কোন রকম গণ্ডগোল না হয়। মানুষ যাকে ভোট দেবে সে পাশ করবে।
নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পদ্ধতি চলে এসেছে।
ঢাকা জার্নাল, জুন ১৬, ২০১৩।