নির্বাচনের আগে দেশে অস্ত্র প্রবেশ রোধে ব্যবস্থার সুপারিশ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, দীপংকর তালুকদার, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাসন্তী চাকমা ও নোমান আল মাহমুদ অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ডলুছড়ি মৌজায় ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় এবং লামা রাবার ইন্ডাস্ট্র্রিজ লি. এর মধ্যে জমি দখল নিয়ে অসন্তোষ ও দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত সাব-কমিটির উপস্থাপিত রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া কমিটি তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জেলার বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র যেন দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কমিটি সুপারিশ করে।
পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ইটের ভাটা স্থাপনের ওপর কমিটি গুরুত্বারোপ করে। এছাড়া বাংলাদেশে উৎপাদিত রাবার পণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের ১২ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে মাটির সক্ষমতা না থাকায় তার পরিবর্তে ৭ তলা ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কমিটিকে অবহিত করা হয়। কমিটি মেডিকেল কলেজ ভবনের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু করতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং দ্রুত প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।