নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে রিট মামলায় বিচারপতি বিব্রত
ঢাকা: ফেনী- ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে ব্রিবতবোধ করেছেন হাইকোর্টের এক বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চে এ রুল শুনানি শুরু হয়।
এ সময় বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এ মামলা শুনতে বিব্রবতবোধ করেন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
নিয়ম অনুসারে এ মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি মামলাটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করবেন।
অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে রিটটি দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
ওই সময় রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সংবাদপত্রে এসেছে, নিজামউদ্দিন হাজারী একটি অস্ত্র মামলায় সাজা কম খেটেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন।
এছাড়া, সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদে রয়েছে ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, তিনি যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অনূর্ধ্ব দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।’
আর ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯ (চ) ধারায় নিজাম হাজারীর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানায় হওয়া মামলায় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে এ সাজা দিয়েছিলেন। উভয় দণ্ড এক সঙ্গে চলবে বলে রায়ে বলা হয়।
অর্থাৎ ১০ বছর সাজা ভোগ করবেন নিজাম হাজারী। সেই হিসেবে তিনি ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। অথচ তিনি সাজাও কম খাটেন আবার সংবিধানও মানেননি। তাই তার পদ অবৈধ।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন ফেনীর যুবলীগ নেতা শওকত হোসেন।
নভেম্বর ১২, ২০১৫