অন্যান্যবিশ্ববাংলা

নিউইয়র্কে কাদের গনি চৌধুরী: সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা অবস্থান করছে

বিশ্ববাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের ভেতর ও বাইরের। পতিত সরকারের দোসরদের চারপাশে বসিয়ে রেখে সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে ফ্যাসিবাদের দালালরা। ডিসি হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকই ফ্যাসিবাদের দোসর। সচিব, উপদেষ্টাদের পিএস,এপিএসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রায় সকলেই শেখ হাসিনার দোসর। এদের না সরালে সরকারকে বিপদে পড়তে হবে।

স্থানীয় সময় রাত ৯টায় নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ তৌহিদ স্মৃতি সংসদ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

শহীদ তৌহিদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি আহসান উল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাকির এইচ চৌধুরী, আবদুর রহিম বাহার, নুর আলম, মাসুদ রানা, খান মোহাম্মদ টিপু, জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদুল হক, সালেহ আহমেদ রুমেল, মশিউর রহমান রুবেল, হারুন রশীদ, মোজাম্মেল হোসেন সাগর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আল মামুন সুমন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আজ একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অবদান তারেক রহমানের। তার নির্দেশেই আমরা জীবনবাজী রেখে রাজপথে নেমে এসেছিলাম। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তারেক রহমানকে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তাকে এখনো আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। বিভিন্ন রকম টালবাহানা চলছে। কোনোরকম টালবাহানা দেশের মানুষ সহ্য করবে না। আমরা পরিষ্কার করে সরকারকে বলে দিতে চাই, সব মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি নেতা-নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়। নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধবংস করে দিয়েছে।আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থা চালু করে জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষের অধিকার, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য প্রতিষ্ঠার ও বৈষম্য দূর করে মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য অতি দ্রুত আলোচনা করে সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জরুরি।