‘নারীদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার’
ঢাকা জার্নাল: “আওয়ামী লীগ তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য যেসব নাটকের আশ্রয় নিয়েছে, তার অধিকাংশই ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি তারা নারীদেরকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এই নতুন নাটক ব্যর্থ হলে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পরিণতি দেখা যাবে” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবি’তে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলন আয়োজিত গণ অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মঈন খান বলেন, “সরকার তার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য প্রথমে নতুন প্রজন্মকে ফুটবলের মতো ব্যবহার করেছে, তারপর ব্রিটিশ নীতির মতো ধর্ম নিরপেক্ষতাকে ব্যবহার করে জাতিকে দু’ ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। এবার নারীদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নতুন নাটক শুরু করেছে। অন্যান্যগুলোর এটা ব্যর্থ হলে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পরিণতি দেখা যাবে।”
মঈন খান বলেন, “আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা কেবল বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ যে পথে চলবে ১৬ কোটি মানুষকে সেই পথে চলতে হবে। তারা ভুলে গেছে কোনো দেশে ভিন্ন মত না থাকলে গণতন্ত্র থাকেনা।”
ইকোনমিস্ট পত্রিকার বরাত দিয়ে মঈন খান আরো অভিযোগ করেন, “৪ বছর আগে ইকোনমিস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের বস্তা ভরা টাকা আর পরামর্শে ক্ষমতায় এসেছে’।
এবার তারা আবার ৭২ থেকে ৭৫ সালের মতো এক দলীয় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে যা জনগণ মেনে নেবে না।”
আওয়ামী লীগ সীমাহীন ব্যর্থতার ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিতে ভয় পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঈন খান আরো বলেন, “টিআইবি’র মতো অন্যান্য সংস্থার ফর্মূলার কোনো দরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিলেই দেশের অস্থিরতা বন্ধ হয়ে যাবে।”
গণ অবস্থান শেষে প্রেসক্লাবের সামনে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরের কুশপুত্তলিকায় ঝাটা নিক্ষেপ এবং অগ্নিসংযোগ করেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সানজানা চৈতী পপির সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নারী নেত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী নুর-ই-আলম সাবা, জিয়া নাগরিক ফোরামের (জিনাফ) সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।