দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
ঢাকা জার্নাল : জাতীয় ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সারা দেশে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শনিবার।
দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ জন্য জেলা ও উপজেলা কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে।
ক্যাম্পেইন চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কোনো শিশু বাদ পড়লে ক্যাম্পেইন পরবর্তী চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে সকাল ১১টায়। স্বাস্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মহাখালীতে নিপসন অডিটরিয়ামে শিশুকে ক্যাপসুল খাইয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন।
জাতীয় ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান শিশুদের ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত সমস্যা সমাধানে নিরলস কাজের এ প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন। এ কর্মসূচিতে সাফল্যমণ্ডিত করারও আজবান জানান।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানকে এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে বছরে ২ বার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এর ফলে রাতকানা রোগের হার ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ থেকে বর্তমানে শুন্য দশমিক শুন্য ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পেইনের দিন ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর জন্য পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে।
মন্ত্রী ওইদিন আরও জানান, জাতীয় ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ফলে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা এক ভাগের নিচে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে জন্মের পর শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রচার কার্যক্রমের ফলে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বেড়েছে, যা বর্তমানে প্রায় ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে অপুষ্টি ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ৫, ২০১৪।