ঢাবি চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা জার্নাল রিপোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ফজলুল হক মুসলিম হলে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।
ওই সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর এবং হলটির প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ দেখে আসেন প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা।
সকাল সাতটার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলে এসে প্রক্টর ঘটনাস্থল, বিশেষ করে হলটির প্রধান ভবনের গেস্টরুম ও বর্ধিত ভবনের গেস্টরুম পরিদর্শন করেন। পরে এ দুটি কক্ষ সিলগালা করা হয়। এরপর ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন।
এদিকে আগের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা হলটির হাউস টিউটরদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ আমানুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন।
প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন,‘আজকে সন্ধ্যার মধ্যেই সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে আক্রমণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা যারা জড়িত ছিল,তাদের তালিকাসহ একটি রিপোর্ট সন্ধ্যার মধ্যেই হল থেকে প্রক্টর বরাবর দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব।’
তিনি বলেন,‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটি দায়ীদের শাস্তি দেবে। এরপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
প্রক্টর বলেন,‘এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগ থানায় এই ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা করা হবে। মামলাটি আজকের মধ্যেই করা হবে। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন,‘এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল,তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন আর এমন কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে,তার জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
ঘটনার আগে বা পরে হল প্রাধ্যক্ষের হলে না আসা এবং ফোনে না পাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবহিত করবেন বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন।
এদিকে বুধবারের এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিছিল করে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ। ওই সময় তারা হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান এবং নিরপরাধ কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়,সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও আহ্বান জানান।