ঢাবিতে যুবক হত্যা, পুলিশের হুঁশিয়ারি
ঢাকা জার্নাল ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল (৩০) নামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার তদন্তপূর্বক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ইসরাইল হাওলাদার।
তিনি বলেন, শাহবাগ থানায় অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলা নথিভুক্ত হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হবে। ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক মামলা অনুযায়ী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ফজলুল হক মুসলিম হলে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।
ওই সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর এবং হলটির প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ দেখে আসেন প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা।
সকাল সাতটার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলে এসে প্রক্টর ঘটনাস্থল, বিশেষ করে হলটির প্রধান ভবনের গেস্টরুম ও বর্ধিত ভবনের গেস্টরুম পরিদর্শন করেন। পরে এ দুটি কক্ষ সিলগালা করা হয়। এরপর ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন।
এদিকে আগের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা হলটির হাউস টিউটরদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসারের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ আমানুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন।
প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন,‘আজকে সন্ধ্যার মধ্যেই সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে আক্রমণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা যারা জড়িত ছিল,তাদের তালিকাসহ একটি রিপোর্ট সন্ধ্যার মধ্যেই হল থেকে প্রক্টর বরাবর দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেব।’
তিনি বলেন,‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটি দায়ীদের শাস্তি দেবে। এরপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
এর আগে বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তোফাজ্জলকে। একই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পিটিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগের এক নেতাকে।
এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা বাড়াতে হবে। কালকে জাহাঙ্গীরনগরে দেখলাম…তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এই সচেতনতা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।
উপদেষ্টা আরও বলেন, কেউ অপরাধী হলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। এটার ক্ষেত্রে আপনারাও (গণমাধ্যম) একটু আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোক যেন কোনো অবস্থাতেই হেনস্তা না হয়।