Leadখেলা

টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের। মাঠের বাজে ফর্ম এবং মাঠের বাইরে তাকে নিয়ে চলমান একাধিক আলোচনা-সমালোচনা, সবকিছু মোকাবেলা করার পর এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব।

আজ (বৃহস্পতিবার) কানপুরে ভারত সফরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। সেখানে নিজেই জানালেন যে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এবং লাল বলের ক্রিকেট আর খেলতে চান না তিনি। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পরই টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার।

‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি, মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।’- সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন সাকিব।

পাশাপাশি ওয়ানডে ক্যারিয়ারটাও আর দীর্ঘায়িত করতে চান না তিনি। আগামী বছর পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও বিদায় নিয়ে ফেলতে চান সাকিব।

বেশ কয়েকদিন ধরেই মাঠের ক্রিকেটটা ঠিকমতো খেলতে পারছেন না সাকিব। তার চোখের অপারেশনের পর এখন হাতের আঙ্গুলের চোটে ভুগছেন তিনি। ব্যাট হাতে গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই ছন্দে ছিলেন না একসময়ের নাম্বার ওয়ান এই অলরাউন্ডার। কিছুদিন আগের পাকিস্তান সিরিজে এবং বর্তমানে ভারতের মাটিতে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতেও দারুণ কিছু উপহার দিতে পারেননি সাকিব।

এছাড়া মাঠের বাইরে একাধিক বিতর্কে জড়িত ছিল সাকিবের নাম। দেশে সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হয়েছিল হত্যা মামলা। দিন দুয়েক আগে শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে তাকে বিশাল অঙ্কের (৫০ লাখ টাকা) জরিমানাও করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বেশ বাজে সময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের তারকা এই ক্রিকেটার।

২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৭০ টেস্টের ১২৮ ইনিংসে ৩৮.৩৩ গড়ে মোট ৪৬০০ রান করেছেন সাকিব। যার মধ্যে ৫টি সেঞ্চুরিও আছে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ২১৭ রানের ইনিংস খেলছেন তিনি।

বল হাতে টেস্ট ফরম্যাটে ১১৯ ইনিংসে ২৪২ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। ১৯টি ফাইফারের কীর্তি আছে তার নামের পাশে। যেকোনো এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ২ বার।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে, খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত ১২৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোট ২৫৫১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১৩টি অর্ধশতক আছে তার, সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৮৪। এছাড়া বল হাতে ১২৬ ইনিংসে ১৪৯টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব, যার মধ্যে আছে দুটি ফাইফার।