খেলা

আবুধাবির পিচ নিয়ে ভাবছেন না নাহিদা

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ৩ অক্টোবর পর্দা উঠছে এবারের নারী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। আয়োজক বাংলাদেশ হলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের নবম আসরটি।

বিশ্বকাপ মিশনকে সামনে রেখে মিরপুরে শুরু হয়েছে মেয়েদের দুই দিনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ক্যাম্প। সোমবার প্রথম দিনের অনুশীলন সেড়েছে টাইগ্রেসরা। সংযুক্ত আবর আমিরাতের সঙ্গে বর্তমানে দেশের আবহাওয়ার অনেকটা মিল থাকায়, বাংলাদেশ সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন দলের সহ-অধিনায়ক নাহিদা আক্তার।

ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে জ্যোতি-নাহিদা-রাবেয়ারা। দলের বড় দুশ্চিন্তার কারণ ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব। তাই ব্যাটিং নিয়ে বেশি কাজ করেছেন কোচিং স্টাফরা। বিশ্বকাপের স্কোয়াড দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটার তাজ নেহার।

বাংলাদেশ থেকে আসর চলে যাওয়ায় হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। তবে দেশের বর্তমান আবহাওয়ার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছুটা মিল থাকাটা প্লাস পয়েন্ট, এমনটাই জানিয়েছেন নাহিদা আক্তার।

‘আমাদের আশা ছিল ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হবে, এটা আমাদের চাওয়া ছিল। সবাই চায়, আপনারাও চান। যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, চলে গেছে। এর আগে আমরা আবুধাবিতে ম্যাচ খেলেছি, জানা মতে, ওইখানকার উইকেট আমাদের মতোই হয়। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের দুইটা ফ্লাড লাইটের নিচে অনুশীলন হয়েছে, চেষ্টা করব সেটা কাজে লাগানোর।’

বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন জাতীয় দলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস নাহিদা আক্তারের, ‘এশিয়া কাপের পর শ্রীলঙ্কায় আমাদের যে সিরিজটা হলো, সেটা বিশ্বকাপে আমাদের খুব কাজে লাগবে। পাঁচটা ম্যাচ খেলতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ব্যাটাররা ভালো শেপে আছে, বোলাররাও ভালো শেপে আছে। আশা করছি, আমরা যেন মেইন ম্যাচে কাজে লাগাতে পারি।’

এবারের বিশ্বকাপে সমর্থকদের ভিন্ন কিছু উপহার দিতে চান টাইগ্রেস সহ অধিনায়ক, ‘অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব, ম্যাচ জেতার জন্য। জেতার জন্যই যাব। এটাই আমাদের ফোকাস।’

আগামীকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়বেন নারী ক্রিকেটাররা।